টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, জাহালমের ঘটনা থেকে দুদক শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র দাখিল ও সাজার ঘটনা ঘটেছে। কামরুল ইসলাম নামে নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে দুদকের ভুল তদন্তের মাধ্যমে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিকে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের ভুল তদন্তের মাধ্যমে জালিয়াতি মামলায় মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম নামে এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে আবারও সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনার তদন্ত কাজ ১০ বছর চলেছে। বারবার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হওয়া সত্ত্বেও একজন নির্দোষ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের ঘটনা সরল বিশ্বাসে ঘটেছে বলে আদালতে দুদকের বয়ান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বরং পেশাদারি ও জবাবদিহির চূড়ান্ত ঘাটতির ফলে জাহালমের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল ও সাজার ঘটনায় দুদক কর্তৃক উচ্চ আদালতে ভুল স্বীকার এবং মামলার এজাহার থেকে তদন্ত সকল পর্যায়ে ভুল হয়েছে মর্মে দুদকের আইনজীবীর স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের পেশাদারি কতটা দুর্বল ও অদক্ষতায় ভরা। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এমন ঘটনা উদঘাটনের পর দুদকের সরল বিশ্বাসের ব্যাখ্যা দায় এড়ানোর অর্থহীন প্রয়াস। জাহালমের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এ-জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হতো। তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা, মানসম্মান, সামাজিক হেনস্তা ও মানসিক চাপের মতো বিষয়সমূহ যে কোনো ধরনের সরল বিশ্বাসের কাছে জিম্মি হয়ে থাকলে তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কখনই কল্যাণকর হতে পারে না। প্রতিষ্ঠানটি আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করবে এ প্রত্যাশা করছি আমরা।
