সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও শেয়ারবাজারে সূচক কমল ১২৮ পয়েন্টের বেশি। আগের দিন বড় দরপতনের খবরে ১১টি ব্রোকারেজ হাউসের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ওই সিদ্ধান্তের পরে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় দরপতন ঘটেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় সব কটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে। ডিএসইতে লেনদেনের শুরু থেকেই ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল, বস্ত্র, ওষুধ, আর্থিক খাতসহ প্রতিটি খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে থকে। সেই সঙ্গে দরপতন হয় মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ১২৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। আগের দিন সূচকটি কমে ১৪২ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা দুই কার্যদিবসের বড় পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমল ২৭০ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৬টির। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মূল্যসূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ৭৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪০ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৫ টকা ৭০ পয়সা কমে ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা একই গ্রুপের বেক্সিমকো ফার্মার ৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, সামিট পাওয়ার, মীর আখতার হোসেন লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার এবং আইএফআইসি ব্যাংক। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৯৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৬টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
