শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

বিশেষ সাক্ষাৎকারে সালমান এফ রহমান

জালিয়াতি বন্ধের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না

করোনা মোকাবিলায় আমাদের সফলতা বিশ্বস্বীকৃত
মানিক মুনতাসির
প্রিন্ট ভার্সন
জালিয়াতি বন্ধের নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় আমরা ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছি। এটা বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। সারা দেশে ১০০ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিনিয়োগ বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাংক কিংবা আর্থিক জালিয়াতি বন্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও কেউই পারে না। তবে এটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আমরা সে কাজটিই করছি। জালিয়াতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া যারা জালিয়াতি করছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য নতুন নতুন আইন করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ভবনে তাঁর কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছে, বিশ্ববাসীও এর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এরপর ভ্যাকসিন আনা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ বেশ সফলতা দেখিয়েছে। এ ছাড়া করোনা-পরবর্তী বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্র আমরা তৈরি করছি। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। করোনা মোকাবিলায় ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন, শেয়ারবাজার ও ব্যাংকিং খাত পরিস্থিতি, শেয়ারবাজার পরিস্থিতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এলডিসি থেকে উত্তরণসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত মতামত তুলে ধরেন সালমান এফ রহমান। তাঁর সাক্ষাৎকারের পুরো অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনার দৃষ্টিতে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম কেমন চলছে?

সালমান এফ রহমান : আমি মনে করি আমরা এখন খুব ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা করোনার ক্ষতি বেশ দ্রুতই কাটিয়ে উঠছি। আমাদের ইকোনমির রিকভারি বেশ দ্রুতই শুরু হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা রিকভারিতে এগিয়ে আছি। যদিও রপ্তানি খাতটাই শুধু ৭০ বা ৭৫ শতাংশ রিকভার হয়েছে। অন্যগুলোও এগোচ্ছে। এর কারণ হলো, আমাদের এখানে অর্থনীতির ক্ষতি যেমন কম হয়েছে তেমনি জনজীবনের ভোগান্তি এবং ক্ষয়ক্ষতিও তুলনামূলক কম হয়েছে। যার ফলে আমরা দ্রুত রিকভারি করতে পারছি। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মোকাবিলায় আমরা অনেক ভালো করেছি। যদিও ওই সময় অনেক সমালোচনা করা হয়েছিল। বিশেষ করে গার্মেন্ট খুলে দেওয়ার সময়ও বলা হয়েছিল রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। লাশ টানার লোক থাকবে না। তা কিন্তু হয়নি। ফলে আমরা এটাকে খুব সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। অনেকেই বলেছিলেন, আমাদের রেমিট্যান্স কমে যাবে তাও কিন্তু হয়নি। বরং রেমিট্যান্সে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্র্রার রিজার্ভেও।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : করোনা মোকাবিলা ও ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করুন।

সালমান এফ রহমান : করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো করেছে, বিশ্ববাসীও এর স্বীকৃতি দিচ্ছে। এখন তো আমাদের তেমন কোনো রোগীই নেই। ভ্যাকসিন জোগাড় করা থেকে প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে কাজটি করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রথমে তো মানুষ মনে করেছিল ভ্যাকসিন আনার ব্যাপার একটা গল্পমাত্র। আমরা কিন্তু তাকে বাস্তব করেছি। এখন মানুষ শুধু টিকা নিচ্ছে না, আমাদের প্রশংসাও করছে। বাকি প্রায় ৩ কোটি ডোজ টিকাও পর্যায়ক্রমে আসবে এবং প্রয়োগ করা হবে। এখানে আবার গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন (গাভি) দেবে ৬ কোটি ডোজ। সেটাও আসবে। আমি আশা করি, আর দু-তিন মাস পর ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ভ্যাকসিনের আওতায় নিতে আসতে পারব। ইতিমধ্যে আমরা এটাকে ৪০-এ নিয়ে এসেছি। ইউরোপ-আমেরিকায় কিন্তু এখনো ৫০-এর নিচে নামানো হয়নি। কিন্তু এখন আমাদের রোগীই নেই। আমরা যে ফেজ থ্রি ট্রায়াল করব তার মতো রোগীই তো নেই। এটা ট্রায়াল করার যে প্রটোকল আছে তাও মিট করতে পারব না। কারণ এখন আমাদের রোগীই নেই। এটা ছিল একটা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট। তার পরও আমরা ভালো করেছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বর্তমান বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

সালমান এফ রহমান : করোনা পরিস্থিতির পর এখন কিন্তু সবাই আবার কাজ করছে। যদিও কাজকর্ম বন্ধ ছিল মাত্র অল্প দিনই। বিনিয়োগের পরিবেশ আবার উন্নত হচ্ছে। আমরা কয়েকটি জায়গায় বেশ ভালো কাজ করতে পেরেছি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক সফলতা এসেছে। আমাদের রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। কিন্তু তা কি হয়েছে? এখন আপনি দেখেন কোথাও বিদ্যুতের ঘাটতি আছে? কোথাও নেই। ২০০৯-এ যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন কিন্তু বিদ্যুৎ সমস্যাটা ছিল খুবই বেশি। এখন কিন্তু সে অবস্থাটা নেই। ঢাকার বাইরেও তেমন কোনো লোডশেডিং নেই। যা আছে তা বিতরণ লাইনের সমস্যা। এরপর আসেন অবকাঠামোর উন্নয়ন। আগে এর অবস্থা ছিল করুণ। এখন বন্দরের কথা ভাবেন। সাড়ে তিন গুণ সক্ষমতা বেড়েছে। ফলে রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বলেই তো রপ্তানি বেড়েছে। এখন যা হচ্ছে তা হলো মাতারবাড়ী। সেখানে তো ডিপ সি পোর্ট হচ্ছে। এ মাতারবাড়ী ডেভেলপ হলে গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে। এরপর পদ্মা ব্রিজ। এ নিয়েও তো কত কথা হয়েছে। এখন সেটা বাস্তব। কানেকটিভিটি ইজ ভেরি ইমপোর্ট্যান্ট। এর আগে উন্নয়নটা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। কিন্তু এখন সেটা সারা দেশে বিস্তৃত। ১০০ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণ করে দিচ্ছি। আবার মিরসরাইয়ে তো দারুণ একটা কাজ হচ্ছে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ অন্য সবকিছুর ফলটা কিন্তু আমরা আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে পেয়ে যাব। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াইফাই পাওয়া যায়। এর ফলে ফ্রিল্যান্সাররাও এগোচ্ছেন। ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। তাদের লেনদেন অনেক সহজ করা হয়েছে। এখানে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে আগামী দু-এক বছরের মধ্যে এখানে অন্তত ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের আয় হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনি কি মনে করেন মহামারী করোনায়ও আমরা ভালো করছি। যেখানে সারা বিশ্ব থমকে আছে সেখানেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

সালমান এফ রহমান : এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কৃষি খাত। এখানে অনেক কম জমি নিয়েও আমরা যে খাদ্য উৎপাদন করছি তা রেকর্ড। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনায় তো খাদ্য ঘাটতি হওয়ার কথা তা কিন্তু হয়নি। মাছ, মাংস, ফল, শাকসবজি সবই তো আমাদের নিজেদের। কৃষি খাতই আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় নিয়ামক। কৃষি খাত বহুমুখীকরণ করা হয়েছে। এজন্যই মূলত আমাদের ক্ষতিটা কম হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প খাতে সামগ্রিক পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ হয়নি। আরেকটা বিষয় হলো, আমাদের এখানে যে লকডাউনটা ছিল সেটা ছিল খুবই সীমিত পরিসরে। লকডাউনের মধ্যেও আমরা অনেক কাজ করেছি। অনেক দেশে তো মানুষ ঘর থেকেই বেরোয়নি। কোনো কোনো দেশে এখনো লকডাউন চলছে। যে কারণে আমরা খুব একটা সমস্যায় পড়িনি। আরেকটা ব্যাপার হলো, গ্রামের মানুষ কিন্তু লকডাউন মানেনি। স্বল্প আয়ের মানুষও লকডাউন সেভাবে মানেনি। নিজেদের জীবিকার তাগিদে তারা কাজ করেছে। এগোলোই আমাদের এগিয়ে রেখেছে। এগুলো তো উন্নত দেশে দেখা যায়নি। আমাদের এখানে মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজ করেছে। বের হয়েছে। এজন্য আমাদের ক্ষতিটা মেজর ছিল না। এর সঙ্গে আরেকটা ব্যাপার হলো গার্মেন্ট খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্তটা ছিল তা ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটা সাহসী সিদ্ধান্ত। সেটাও আমাদের অনেক এগিয়ে নিয়েছে। এখানে আমাদের বলা হয়েছিল, রপ্তানিতে ধস নামবে কিন্তু তা কিন্তু হয়নি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকার-ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কতটা সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন?

সালমান এফ রহমান : আমরা চাওয়ার আগেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে দিয়েছেন। এ ছাড়া গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার বিষয়টাও তিনিই ঠিক করে দিলেন। এটা ছিল সত্যিই একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত যা আমাদের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা অনেক সহজ করে দিয়েছিল। এ প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নও হয়েছে। অনেক সময় মনে হয় সমস্যাটা অনেক বড় কিন্তু আসলে এত বড় নয়। শুধু সরকার কিন্তু সমাধান দিতে পারে না। তবে পলিসি সহায়তা দিতে পারে। ওই সময় তো সারা বিশ্বই বিপর্যস্ত ছিল। প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা গেলে। ইমপেরিয়াল কলেজ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তো বলেও দিয়েছিল কত কোটি মানুষ মারা যাবে। ঢাকায় লাশ টানার মানুষ থাকবে না। তা কিন্তু হয়নি। এখানে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমটা হলো সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও সহায়তা। আরেকটা হলো আমরা সহজে হার মানি না। বাঙালি জাতি যে হার মানে না আবার আমরা প্রমাণ করেছি। এর আগে ’৭১ সালেও আমরা প্রমাণ করেছি। তবে নানা সমস্যাও ছিল। অনেকেই অনিয়ম করেছে, অসৎ লোকেরা কিছু মন্দ কাজও করেছে। কিন্তু সেটা খুব বড় স্কেলে ছিল না। এখানে প্রণোদনা প্যাকেজগুলোও ৬০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে সেগুলো সম্পর্কে বলুন।

সালমান এফ রহমান : আমি বলব এটা আমাদের থেকে যা নিয়ে যাবে তার থেকে অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করবে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। বিউটি পারলার রয়েছে। ফলে আমরা তো বদলাচ্ছি। সেটা তো এমনি এমনি হয়নি। নিশ্চয়ই মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নতি করছি। এগুলো সবই দৃশ্যমান। এটা ঠিক যে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট করার ফলে আমরা কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাব। কিন্তু নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধাও তো আমরা পাব। এখানে অবশ্য অনেক চ্যালেঞ্জও আছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো শুধু চ্যালেঞ্জ নয়, সেগুলো কিন্তু সম্ভাবনা, সুযোগও।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং ধনী-গরিবের মধ্যকার যে  বৈষম্য সেটা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালমান এফ রহমান : এখানে অনেকেই বলেন যে, আপনাদের যে উন্নয়নটা হচ্ছে সেটা তো ধনীরা ধনীই হচ্ছে আর গরিবরা গরিবই হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা সে রকম নয়। এটা ঢাকার ড্রয়িং রুমে বসে বলাটা খুব সহজ। আমরা তো গ্রামে যাই। চলেন আপনি আমার গ্রামে। এতই যদি বৈষম্য হতো সেটা তো আমরা দেখতাম। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। বাড়ছে। মানুষ এখন মাছ, মাংস খাচ্ছে। আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। তবে বৈষম্য যে একেবারেই নেই তা নয়। কিছুটা আছেই। সেটা উন্নত দেশেও রয়েছে। তবে হ্যাঁ, এই মহামারীর কারণে একটা শ্রেণির মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ছিল, যারা ট্যুরিজম বিজনেস করত, যাদের ছোট ছোট দোকান ছিল তারা কিন্তু পথে বসে গেছে। কিন্তু সেটার জন্যও সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। অনেকেই আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকে হয়তো সেটা পারেনি। 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকারের টানা ১২ বছরের শাসনের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালমান এফ রহমান : এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপারে হলো কোনো নেতা যদি মনে করেন তিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন। তিনি তা পারবেন। আমাদের এখানেও তাই হচ্ছে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কোনো ম্যাজিকের কথা আমি বলব না। তবে আমি বলব তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাজ করেন শুধুই মানুষের জন্য। জনগণের জন্য। সিঙ্গাপুরেও তো তাই হয়েছে। একটা বিষয় এখানে বলব-মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী যখন গৃহহীনদের ঘর দিতে চাইলেন তখনো কিন্তু অনেকেই হাসাহাসি করেছে। যে এটা কী বলেন? কিন্তু আজকে দেখেন। সেটা তো বাস্তবে হয়েছে। এখানে তিনি চান সব সময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে। সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ব্যাংকিং খাতের অবস্থা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

সালমান এফ রহমান : এখানেও একটা কথা আমি বলব-প্রধানমন্ত্রী কিন্তু অর্থনীতিবিদ নন। যখন আমরা বললাম যে আমাদের ঋণের সুদহার অনেক বেশি তখন তিনি ঋণের ক্ষেত্রে ৯ এবং আমানতের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দিলেন। এটা নিয়ে তো তখন অনেকেই হাসাহাসি করেছেন। তারা বলেছেন, এটা সম্ভব নয়। এমনকি ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, এটা হবে না। সম্ভব নয়। কিন্তু আজকে কী হয়েছে দেখুন। বাস্তবতা তো ভিন্ন। আজকে বাস্তবায়ন হয়েছে বলেই আমাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরাও খুশি। ব্যাংকাররাও খুশি। ব্যাংকেও তারল্যের ঘাটতি নেই। অনেকেই বলছিল, তোমরা কী পাগল হয়ে গেছ? এখানে মুক্তভাবে চলতে দিতে হবে। এখানে ক্যাপ বসানো হলে ব্যাংক খাত ডেস্ট্রয় হয়ে যাবে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা বাস্তবায়ন করেন, ডেস্ট্রয় হলে সেটা আমি দেখব। ১৪ শতাংশ সুদ দিয়ে তো ব্যবসা করা যায় না। কোনো দেশেই এটা নেই। ফলে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। যদিও আমি নিজেও এটা প্রথমে চাইতাম না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও চাননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা করতে হবে। ভালোমন্দ পরে দেখা যাবে। কে কী বলল সেটা আমলে নেওয়ার বিষয় নয়। এমনকি আইএমএফ কী বলল সেটাও আমি কিছু মনে করি না।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?

সালমান এফ রহমান : এখানে আমাদের একটা দুর্বলতা আছে সেটা হলো সুপারভিশন। এখানে সুপারভিশনটা বাড়াতে হবে। আরেকটা বিষয় হলো-জালিয়াতি। এই জালিয়াতি কিন্তু বিশ্বের সব দেশেই হয়। ইউরোপ, আমেরিকাতেও হয়। ভারতেও হয়। ফলে আমাদের এখানেও হচ্ছে। এটাকে কিন্তু বন্ধ করা যায় না। জালিয়াতি কেউই বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। এখানে বিষয়টা হলো, নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর আমরা সে কাজটাই করছি। জালিয়াতি যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য আমরা আইন-কানুন বদলাচ্ছি। জালিয়াত চক্রকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এই ধরেন হলমার্কের সবাই তো জেলে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ভারতে জালিয়াতি হচ্ছে তাই বলে কি এখানেও হতে হবে এটাকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

সালমান এফ রহমান : না না! আমি সেটা বলছি না। জালিয়াতি কোথাও কাম্য নয়। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তো কেউই হাত গুটিয়ে বসে থাকেন না। দুষ্কৃতকারীরাও বসে থাকেন না। তারাও জালিয়াতির ধরন পাল্টান। ফলে এটাকে বন্ধ করা যায় না। তবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা সেটাই করছি। এ জন্য নতুন নতুন আইন করা হয়েছে। সুপারভিশনও বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বাংলাদেশ ব্যাংকেও তো সমস্যা। তাহলে আপনি ব্যাংক জালিয়াতি কীভাবে বন্ধ করবেন?

সালমান এফ রহমান : এখানে বিষয়টা হলো অসৎ লোক যদি থাকে তাহলে তো এমন ঘটনা ঘটবেই। সেটা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, শেয়ারবাজার যেখানেই থাকুক জালিয়াতি ঘটবেই। এই অসৎ লোকদের ঠেকাতে হবে। আপনি যতই আইন করেন মার্ডার বন্ধ করতে পারবেন না। রেপ বন্ধ করতে পারবেন না। কিন্তু এটাকে কমিয়ে আনা যায়। হবে না এটা বলা যায় না। তবে যখন ঘটনা ঘটবে তখন আমরা অ্যাকশন নিতে পারি। নিচ্ছি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির ঘটনার মূল হোতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং পি কে হালদার দেশ থেকে কীভাবে পালাল বলে আপনি মনে করেন?

সালমান এফ রহমান : কেউ যদি পালিয়ে যেতে চায় তাকেও আটকে রাখা কঠিন। আর এখানে সবাই তো পালিয়ে যায়নি। দু-একজন পালিয়েছে বাকিদের তো ধরা আছে। তাদের বিচারও প্রক্রিয়াধীন। এভাবে ঢালাওভাবে বলা যাবে না। এগুলো দৃষ্টান্ত হতে পারে কিন্তু উদাহরণ নয়। ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত আমরা চোখ বন্ধ করে থাকব ব্যাপারটা কিন্তু এমনও নয়। আমরা তো চোখ-কান খুলে রেখেছি। আমাদের প্রত্যেকটা ঘটনা থেকে শিখতে হবে। ঘটনার সুরাহা করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালমান এফ রহমান : এখন শেয়ারবাজার অনেক স্থিতিশীল। এখানে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ছিল না। বিশ্বের অন্যান্য জায়গার শেয়ারবাজারে শতকরা ৭০ শতাংশই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আর বাকিটা রিটেইলার। কিন্তু আমাদের এখানে ঠিক উল্টো। এখানে কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক ছিল। আর কিছু মিউচুয়াল ফান্ড ছিল সেগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারত না। এটা কিন্তু এখন পাল্টাচ্ছে। এখানেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী দিন দিন বাড়ছে। ফলে আমাদের শেয়ারবাজার এখন অনেক শক্তিশালী। এখানে নতুন নতুন কিছু নিয়ম-কানুন, আইনও করা হয়েছে। নতুন নতুন কোম্পানি আসছে। এখানে একটা বিষয় খুবই গুরুত্বর্পূণ। মার্কেট চলবে নিজের গতিতে। মার্কেট বাড়বে মার্কেট কমবে। কারেকশন হবে। এখানে হায় হায় করার কিছু নেই। শুধু সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে মার্কেট ম্যানুপুলেশন হচ্ছে কিনা, সেটা হলে তড়িৎ গতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কেট শুধুই বাড়তে থাকবে এটা তো হয় না। কারেকশন তো হতে হবে। সেখানে ভয় পেলে চলবে না। আরেকটা ব্যাপার হলো- আমাদের যে বিনিয়োগকারীরা, তারা এখন অনেক ম্যাচুইট আচরণ করেন। আগে অনেক হুজুগে বিনিয়োগকারী ছিল এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। মার্কেট কমলে আগে সবাই বিক্রি করত, এখন কিন্তু তা করে না। এখন পর্যবেক্ষণ করে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকারের আয় কমে গেছে। রাজস্ব আয় বাড়ছে না-এ বিষয় আপনার মন্তব্য কী?

সালমান এফ রহমান : এখানে বিষয়টা হলো-যারা ট্যাক্স দেন তারাই দেন। আর যারা দেন না, দেনই না। এ অবস্থা থেকে বেরোতে হবে। আশার কথা হলো, এনবিআর চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৬০ হাজার নতুন করদাতা যুক্ত হয়েছেন। এটা একটা ভালো খবর। আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিওটা বাড়াতে হবে। অন্যথায় সরকারের আয় বাড়ানো যাবে না। এখানে আমাদের ট্যাক্স রেট কমাতে হবে আর ট্যাক্স নেট বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
দ্বিতীয় দিনেও নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
সর্বশেষ খবর
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে
সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা