সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙলঝাড়া গ্রামে একই কক্ষ থেকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ ও তার দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালের দিকে কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ঝুলন্ত গৃহবধূর নাম মাহফুজা খাতুন। তার দুই শিশু ছেলে মাহফুজ (৯) ও মেয়ে মোহনা (৬)। মা মাহফুজা খাতুন গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে তিনি তার দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনার পর উৎসুক গ্রামবাসী ওই বাড়িতে ভিড় করছে। মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুর আব্দার আলী জানান, তিন দিন আগে খেলা করার সময় স্থানীয় লাল্টুর ছেলে হৃদয় (১৪) শিশু মোহনাকে যৌন নির্যাতন করে। মোহনা বিষয়টি বাড়ি এসে মাকে জানালে মাহফুজা স্থানীয় ইউপি সদস্য সাফিজুল ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে জানান। কিন্তু মেম্বর সাফিজুল ও চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গড়িমসি করতে থাকেন। সামনে ইউপি নির্বাচনের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মা মাহফুজা খাতুন। এর এক পর্যায়ে মেম্বর সাফিজুুল সামনে নির্বাচন উল্লেখ করে কয়েকদিন পরে বিচারের আশ্বাস দেন আর চেয়ারম্যান তাকে মামলার পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে মাহফুজার শ্বশুর আব্দার আলী মামলা করার কথা বলেন। গৃহবধূ মাহফুজা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, মামলার খরচ চালাব কিভাবে। বৃহস্পতিবার সকালে মাহফুজা দুই সন্তানকে হত্যা করে নিজে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।