শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সংক্রমণ ঠেকাতে তিন স্তরের স্মার্ট লকডাউন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংক্রমণ ঠেকাতে তিন স্তরের স্মার্ট লকডাউন জরুরি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ভয়াবহতা ঠেকাতে সারা দেশে তিন স্তরের স্মার্ট লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরের জন্য পৃথক বিধিনিষেধ এবং চট্টগ্রামসহ যেসব এলাকা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন সেগুলোর জন্য পৃথক বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। এ ছাড়া উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের জন্যও আরোপ করতে হবে পৃথক বিধিনিষেধ। কেননা উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে এখনো এই ভাইরাস বিস্তারের ব্যাপকতা কম রয়েছে। এসব এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি সামলানো যাবে না কোনোভাবেই। এ ছাড়া সরকারের এককভাবে শুধু বিধিনিষেধ আরোপ বা লকডাউন ঘোষণা করলেই চলবে না। এসব বিধিনিষেধ মানাতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একইভাবে জনসাধারণকেও তা মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষ ও দিনমজুরদের জন্য আগের বছরের মতো আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। আজ অনলাইন প্ল্যাটফরমে বেসরকারি সংস্থা হেলদি বাংলাদেশের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব সুপারিশ তুলে ধরেন। ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, গত বছর কভিডের প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা পুরোপুরি সামাল দেওয়ার আগেই চলতি বছর দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিকে আবারও বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে কভিড-১৯ এবং এই দ্বিতীয় ঢেউ একটি বিশ্ব সংকট। তবে এ সংকটের ফলে দেশে দেশে বিপর্যয়ের মাত্রা নির্ভর করছে অভ্যন্তরীণ নীতি ও বার্তার কার্যকারিতা এবং সার্বিক জনসচেতনতার ওপর। হেলদি বাংলাদেশ ব্যাংকের আহ্বায়ক হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের প্রথম দফায় আমরা দেখেছি, দৃশ্যনীয়ভাবে দুর্বল রয়ে গেছে ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ, অক্সিজেন ও জনবল কাঠামো। ঢাকার ভিতরেও ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দৃশ্যমান ব্যর্থতা এ সত্যকে কঠিনভাবে তুলে ধরেছে।

চলতি বছরের শুরুতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে একাধিক সোর্স থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করাটাই এখন চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে দ্বিতীয় দফা স্মার্ট লকডাউনের সময় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারেও জোর সুপারিশে করেন তিনি। তিনি বলেন, মহামারী সফলভাবে মোকাবিলার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে জনসাধারণকে সচেতনতার দিকে ফিরতে উদ্বুদ্ধ করা। নীতি নির্ধারণে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কার্যকর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর রশিদ-ই-মাহবুব, প্রফেসর হুমায়ুন কবির চৌধুরী, প্রফেসর ডা. এম এ ফয়েজ, ডা. খায়রুল ইসলাম, প্রফেসর আবদুল হামিদ, এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত, প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসিরউদ্দিন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর