শিরোনাম
সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

জ্বর কমেছে খাবারেও রুচি এসেছে খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বর কমেছে খাবারেও রুচি এসেছে খালেদা জিয়ার

করোনা শনাক্তের দশম দিনে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্বর ছিল না। এখন খাবারেও তিনি স্বাদ পাচ্ছেন। বেগম জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, বেগম জিয়া পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত বলা না গেলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো ও স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল টিমের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে ফিরোজায় তাঁর বাসভবনে যান।

পরে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘গত কয়েক দিন ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শরীরে জ্বর ওঠানামা করছিল। আজ জ্বর নেই। শনিবারও ১০০ দশমিক ২ ডিগ্রি জ্বর ছিল। আজ তিনি স্বাভাবিকভাবেই খেতে পারছেন। খাবারে স্বাদও পাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল। তবে করোনা এমন একটি রোগ কখন কী হয়ে যায় বলা যাবে না। তাই আমরা ম্যাডামকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছি। 

বেগম জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার যে সিটিস্ক্যান রিপোর্ট, সেখানে ফুসফুসে সংক্রমণ খুবই সামান্য। যেটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় মাইল্ড বা মাইনর বলা হয়। এর বাইরে তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন সব সময় ভালো। যেটা ৯৮ ও ৯৭ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে এখন পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া লাগেনি। বেগম জিয়া মানসিক দিক দিয়েও খুবই স্ট্রং আছেন।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য যে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করছি তার ভালো ফলাফল পাচ্ছি বলে মনে হয়। নয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। অর্থাৎ করোনার দ্বিতীয় সপ্তাহের কঠিন সময় পার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার কোনো জটিল সমস্যা দেখা যায়নি। এই পুরো সপ্তাহ না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এর মধ্যে কোনো জটিলতা দেখা দিলে আমরা সে অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সে রকম অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। যদি তাঁর অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। খালেদা জিয়ার ক্ষুধামন্দার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারে থাকার সময়ে তাঁর মারাত্মক ক্ষুধামন্দা, শরীরে প্রচ- ব্যথা এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ছিল। তাঁর ব্লাড সুগার সব সময়ে গড়ে ১১-এর ওপরে ছিল। কিন্তু তিনি বাসায় ফিরে আসার পর সে অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এখন তাঁর ডায়াবেটিস মাত্রা ৮-এর ঘরে নিয়ে আসতে পেরেছি। ব্যথাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও তিনি ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারছেন। কিন্তু এটাকেই আমরা শেষ বলতে চাই না। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর