কারাগারে থাকা হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মামলায় আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বিকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌসের আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় মামুনুল হককে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয় আদালতে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থাকায় হেফাজতের ডাকা হরতালের একটি নাশকতার মামলায় পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামুনুল হকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হেফাজতের হরতালে নাশকতার ঘটনায় একটি মামলা রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ মে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ ও সহিংসতার চারটিসহ মোট পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি মামলায় তিন দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৩০ এপ্রিল সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন এক নারী। যাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেছিলেন। সবশেষ গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে তাকে ধর্ষণ করা হয়।’প্রসঙ্গত, ৩ এপ্রিল বিকাল ৫টায় সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে রাখে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় কয়েকজন। সন্ধ্যা ৭টায় মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা রয়েল রিসোর্ট ভাঙচুর করে নারীসহ মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা দায়ের করেন। তার কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।