শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
সমুদ্রপথে ইউরোপযাত্রা

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হলো ২৬৪ বাংলাদেশি

প্রতিদিন ডেস্ক

ভূমধ্যসাগর থেকে ২৬৪ বাংলাদেশিকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড এই বাংলাদেশিসহ মোট ২৬৭ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে তিনজন মিসরীয়ও রয়েছেন। তারা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির পথে রওনা হয়েছিলেন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের পরে তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেরবার একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কোথায় নেওয়া হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। 

তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে  বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা নৌকায় করে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের বহন করা নৌকা সাগরে ভেঙে যায়। তখন তারা সাগরে ভাসছিলেন। সে অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের তিউনিসিয়ার নৌবাহিনীর সহায়তায় তীরে আনা হয়। সাগর থেকে তাদের লিবিয়ার সীমান্তবর্তী তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বেন গুয়ের্দেন বন্দরে নেওয়া হয়। তাদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ১০ জুন ১৬৪ বাংলাদেশিকে তিউনিসিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। তারাও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার আগে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় গত ১৮ মে ৩৬ জন এবং ২৭ ও ২৮ মে উপকূল থেকে ২৪৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে তিউনিসিয়ায় ৭০৭ বাংলাদেশি রয়েছেন। এ ছাড়া গত মাসে লিবিয়ার অবৈধ অভিবাসন দমন বিভাগের (ডিসিআইএম) কর্মকর্তারা আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী মরু এলাকা দারাসে অপহরণকারীদের কবল থেকে ৮৬ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেন। তারা বেনগাজি হয়ে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার পথে অপহরণকারীদের কবলে পড়েছিলেন। তারা লিবিয়ার হাতে রয়েছেন।

রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১ হাজারের বেশি অভিবাসী তিউনিসিয়ায় আটক হয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশের ১৯ হাজার ৬১ জন ইতালিতে পৌঁছেছেন। এই তালিকার শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের ২ হাজার ৬০৮ জন ইউরোপে পৌঁছেছেন। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপ যাত্রার সময় অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর