শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চাল নিয়ে চলছে চালবাজি

কেজিপ্রতি বেড়েছে ২-৪ টাকা, খুচরা ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিলারদের, মিলাররা বলছেন ধানের দাম বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাল নিয়ে চলছে চালবাজি

ধানের ভরা মৌসুমে নওগাঁর মোকামে বেড়েছে চালের দাম। প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ২-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ চালের দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিলারদের। আর মিলাররা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। তাছাড়া ধানের দাম বাড়তি থাকায় চালে তা প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের আড়তে হঠাৎ চালের দাম প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর বাড়তি দামের আঁচ লাগছে খুচরা বাজারেও। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এদিকে করোনার থাবায় দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ যখন কর্মহীন, তখন নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নিম্নআয়ের মানুষ দিশাহারা। নিম্নআয়ের মানুষ তাদের আয়ের বড় অংশ ব্যয় করে ভোগ্যপণ্য, বিশেষত চাল কেনার পেছনে। এই বাস্তবতায় চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দেশে চালের উৎপাদন, সরবরাহ, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েই চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের বাজারের এ অস্থিরতার নেপথ্যে মিলার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা কলকাঠি নাড়ছেন। চালের বাজারের অস্থিরতার পেছনে এবারও মিলারদের কারসাজি থাকতে পারে। তাদের কারসাজির প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। সঠিকভাবে বাজার মনিটর করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় চালের বাজারে অস্থিরতা থামছেই না। হু হু করে বাড়ছে দাম। কুষ্টিয়ার বাজারে এখন এক সপ্তাহ পর পর বাড়ছে চালের দাম। আর গত এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুষ্টিয়ার চালের বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গত সপ্তাহে তারা মিলগেট থেকে যে দামে চাল কিনেছেন পরের সপ্তাহে আর সেই দামে কিনতে পারছেন না। সর্বনিম্ন কেজিতে ৫০ পয়সা বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। এক মাস ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে চালের দাম বাড়ার এই খেলা চলছে। ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ চালের দাম কয়েক দফা বাড়লেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো উদ্যোগ নেই। আর এই সুযোগে মিলাররা সিন্ডিকেট করে তাদের খেয়াল-খুশি মতো চালের দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গতকাল সকালে সরেজমিন কুষ্টিয়ার পৌর বাজার ও বড় বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। আর গত এক মাসে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই বাজারে সব ধরনের চালের দাম  বেড়েছে। গত জুন মাসের শুরুতে যে মিনিকেট (সরু চিকন চাল) ৫৬ টাকা কেজি ছিল সেই চাল এখন ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাজললতা চাল আগে যেখানে ৫০ টাকা কেজি ছিল এখন তা বেড়ে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি চাল ৬৪ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর নাজির শাইল চাল আগে যেখানে ৫৪ টাকা ছিল এখন সেখানে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিন জানান, কুষ্টিয়ার চালের বাজার একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়ছে। তিনি জানান, গত এক মাস ধরেই বাজারের এই অবস্থা চলছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম হচ্ছে কুষ্টিয়ার খাজানগর। খাজানগরের এই চালের মোকাম থেকেই দেশের সিংহভাগ চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। এখানকার মোকামে চালের দাম বাড়লে সারা দেশের বাজারে বাড়বে। কুষ্টিয়ার খাজানগর মিলগেটে পাইকারি পর্যায়ে চাল মিনিকেট ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা, কাজললতা ৫১ টাকা, আঠাশ ৪৭ টাকা এবং বাসমতি ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী টিপু সুলতান জানান, পৌর বাজার এবং বড় বাজারের ব্যবসায়ীদের কুষ্টিয়ার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতা নেই। বাজারে চালের দাম বাড়া-কমা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন খাজানগর মোকামের চাল ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কয়েক দফায় চালের দাম বাড়ার কারণে ক্রেতা সাধারণ নাভিশ্বাস। পৌর বাজারে চাল কিনতে আসা হাসিবুর রশিদ অভিযোগ করেন কুষ্টিয়ায় সরকারের খাদ্য অধিদফতরের কোনো মনিটরিং নেই। করোনার দোহাই দিয়েও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী ধানের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ যেন অনেকটা মগের মুল্লুক। কয়েক দফা চালের দাম বাড়ায় করোনা মহামারীতে নিম্ন আয়ের মানুষজনকে চরম  ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান জানান, টানা লকডাউনের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খাজানগর চালের মোকামে বেচাকেনা একেবারেই কম। আগে যেখানে খাজানগর মোকাম থেকে প্রতিটি ট্রাকে ১৫ টন চাল নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক চাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যেত এখন সেখানে মাত্র ৫০ ট্রাক চালও যাচ্ছে না।

ধানের বাজার চড়া থাকার কারণে চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে চালকল মালিক সমিতির এই নেতা জানান, ঈদের পর সরকার যদি সরু চাল আমদানি করে কেবলমাত্র তাহলেই চালের বাজারের এই অস্থিরতা কাটতে পারে। কুষ্টিয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাহসানুল হক চালের বাজারের এই অস্থিরতা কথা স্বীকার করে জানান, ধানের বাজার এখনো চড়া রয়েছে। যে কারণে দাম বাড়ছে। ঈদের পর সরকার যদি চাল আমদানি করে তাহলে বাজারের এই অস্থিরতা অনেকটা কেটে যাবে। 

নওগাঁ : দেশের বৃহত্তম মোকাম নওগাঁয় গত ১০ দিন থেকে চালের দাম ওঠানামা করেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের পর মুসলমানদের বড় উৎসব কোরবানির ঈদ। এই ঈদে গরু-ছাগল কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকায় চালের বাজার স্থিতিশীল। আর প্রশাসন বলছে, তারা প্রতিদিন বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।  

নওগাঁর পাইকারি বাজার আলুপট্টিতে নাজিরশাইল চাল প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ২৮০০-৩০০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ৫৬-৬০ টাকা, মিনিকেট প্রতি বস্তা ২৬০০-২৮০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ৫০-৫৪ টাকা, কাটারি প্রতি বস্তা ২৫০০-২৭৫০ অর্থাৎ প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা ও আঠাশ প্রতি বস্তা ২৩০০-২৪০০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে নওগাঁ পৌর খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি নাজিশাইল ৬০-৬২, কাটারিভোগ ৫৮-৬০ টাকায়, জিরাশাইল ৫৫-৫৬ টাকায় ও মোটা ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়।

নওগাঁ পৌর চাল বাজারে চাল কিনতে আসা কারিমা বলেন, তিনি অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। স্বামী রিকশাচালক। পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। প্রতি মাসে প্রায় ৪০ কেজি চাল লাগে। তিনি বলেন, সংসারের খরচ বাড়ছেই। কিন্তু রোজগার তো বাড়ছে না। নওগাঁ শেখ ফরিহা অটোমেটিক রাইস মিলের মালিক  শেখ ফরিদ বলেন, বর্তমানে চালের বাজার স্থিতিশীল। তবে ঈদের পর সরকার যদি বিভিন্নভাবে চাল বাজারে ছাড়ে তাহলেও দাম স্বাভাবিক থাকবে। তা না হলে ঈদের পর চালের দাম বেড়ে যাবে। নওগাঁ চাউলকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, চালের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। দাম বাড়া না বাড়া সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। ঈদের পর সরকার যদি চাল আমদানি করে তাহলে দাম কমবে। নইলে দাম বেড়ে যাবে। বর্তমানে বাজারে ভোক্তা কম। কারণ সবাই কোরবানির পশু কেনা নিয়ে ব্যস্ত। নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ  থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। চলতি বছর নওগাঁয় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

দিনাজপুর : দিনাজপুরে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেড়েছে। চালের প্রকার ভেদে বস্তা প্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ১০০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ২-৪ টাকা। করোনার এই সময়ে চালের দাম বাড়ায় স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। মিলাররা বলছেন, চালের দাম বাড়েনি। অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন চালের দাম মিল গেটেই বস্তা প্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, করোনা ও লকডাউনের কারণে মিলাররা ছাড়াও অনেকে চাল মজুদ করে রেখেছেন। বাজারে সব চালের দোকানে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তারপরও সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। দিনাজপুরের শিল্পনগরী পুলহাট চালের বাজারের রেজাউল ইসলাম জানান, ধানের দাম বেশি এবং চালের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে আগের চেয়ে মিল গেটে প্রতি বস্তায় ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ৫০ কেজির বস্তা আটাশ চাল ২৪০০-২৪৫০ টাকা, মিনিকেট ২৫৫০-২৬৫০ টাকা, সম্পা-২৯০০-২৯৫০ টাকা, আর মোটা ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা চালের বাজারের বিক্রেতা রিপন জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৪ টাকা। ৫১ টাকা কেজির মিনিকেট ৫৪ টাকায়, ৪৮ টাকা কেজির আটাশ চালের দাম বেড়ে ৫০-৫১ টাকা, ৪৫-৪৬ টাকার ঊনত্রিশ চাল ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হুসেন বলেন, খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়লেও মিল পর্যায়ে বাড়েনি। তবে বাজারে ধানের দাম বেশি, ধানের প্রাপ্যতা কম এবং উৎপাদন খরচও বেশি হয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, সরকারের সামাজিক কার্যক্রম যেমন, ওএমএস, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি বাড়ালে এবং সীমিত পরিসরে চাল আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল থাকবে। করোনার কারণে গত বছর অনেক মানুষ তার প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চাল কিনে রেখেছিল। এবারও করোনা এবং লকডাউনের কারণে অনেকে অতিরিক্ত চাল কিনে রাখছেন। তবে গতবারের চেয়ে এর প্রবণতা এবারে কম। এ ছাড়াও দেশের বড় বড় কোম্পানির সুপারশপের জন্য তারা স্থানীয় মার্কেট থেকে চাল নিয়ে প্যাকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এর প্রভাবও পড়ছে খুচরা চাল বাজারে। দিনাজপুর জেলায় ৪০০ অটো ও সেমি অটো রাইসমিলসহ প্রায় ২ হাজার মিল রয়েছে।  চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়ে গেছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা, পাশাপাশি চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাওয়ার হাউসের একমাত্র পাইকারি চালের বাজারে ৮৪ কেজির মোটা চালের বস্তা বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ টাকা দরে। যার খুচরা মূল্য হচ্ছে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রতিকেজি। আর চিকন চাল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৪৯০ টাকা বস্তা। যার খুচরা মূল্য ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা কেজি। মনোয়ার নামে এক চাল ব্যবসায়ী জানান, মিলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।  দাম বাড়া নিয়ে তিনি বলেন, ধান সংকটে মিলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হলে মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। এদিকে চালের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়লেও চাল মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে জেলা রাইস মিল মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আকবর হোসেন বলেন, সরকার ২৭ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪২ টাকা কেজিতে মোটা চাল কিনছে। এ ছাড়া সরকার প্রায় ১২ হাজার হাসকিন মিলের সঙ্গে চুক্তি করায় তারা ধান মজুদ করে রাখছে। যদিও প্রায় ৬ হাজার হাসকিন মিল মালিক সরকারকে চাল সরবরাহ করেনি। তারপরও তারা অতিরিক্ত ধান মজুদ করে রাখায় বাজারে ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে কৃষকরা সরকারের কাছে ধানের মূল্য বেশি পাওয়ায় তারা অটো রাইসমিলে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে হাট-বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে ধান কেনায় চালের মূল্য কিছুটা বেড়েছে। তবে তিনি দাবি করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেনি এবং সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে এটা কাল্পনিক। উল্লেখ্য, জেলায় বৃহৎ অটো রাইসমিল রয়েছে প্রায় ১৫টি এবং ছোট রাইসমিল রয়েছে প্রায় ৭০টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর