শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ ব্যবসায়ীদের

রুহুল আমিন রাসেল

ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের দাবির মুখে আগামী ১ আগস্ট থেকে সারা দেশের সব শিল্পকারখানা খুলতে পারে, সরকার ও ব্যবসায়িক সূত্রে এমন আভাস মিলছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ৩১ জুলাই থেকে রপ্তানি খাত ও উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিতে অনুরোধ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ ব্যবসায়ী নেতারা। এ দাবির জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে শিগগিরই কারখানা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক ব্যবসায়িক সূত্র। গতকাল সচিবালয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি, এক্সপোর্টার   অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি, বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হকসহ ব্যবসায়ী নেতারা। এ ছাড়া বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, যত শিগগির সম্ভব দেশের সব রপ্তানি খাতসহ সব ধরনের উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় রপ্তানি খাতের অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সব ধরনের রপ্তানি বাণিজ্য। পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রমে নিয়োজিত সব শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধের আওতায় সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণভাবে বিঘিœত হওয়ার উপক্রম। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আগামীতে পণ্যসামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সময়মত পরবর্তী রপ্তানি অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হবে না। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কভিড পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে শিল্প-কারখানাকে বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রেখে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানা বন্ধ রাখায় উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, লকডাউনে যেন সব শিল্পকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়া হয়। এটাই আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। তিনি বলেন, শুধু পোশাকশিল্প নয়, সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমরা কথা বলেছি। আমরা আবারও অনুরোধ করেছি, যেন এটাকে লকডাউনের বাইরে রাখা হয়, যেন বিষয়টা বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিকদের করোনার টিকা দিয়ে দ্রুত কাজের সুযোগ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর