সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা নিয়ে ১৫ লাখ মানুষের স্বস্তি

ঢাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু আজ থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ থেকে ঢাকায় এবং আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন। জাপান থেকে কোভ্যাক্স সহায়তায় পাওয়া টিকায় দ্বিতীয় ডোজ শুরুর ঘোষণায় স্বস্তিতে ১৫ লাখ অপেক্ষমাণ মানুষ।

গতকাল কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদান শুরু করেছিলাম। ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ থেকে বাদ পড়েছিলেন। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমরা ১০ লাখ ২৬ হাজার ৩২০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা হাতে পেয়েছি।

আরও ৬ লাখ ডোজ ৩ আগস্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। প্রথমে যে ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকা আমাদের কাছে এসেছিল তা ঢাকা শহর এবং ঢাকার সব জেলায় বিতরণ করেছি।

তিনি বলেন, আশা করি সোমবার থেকে ঢাকার সব জেলা ও শহরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ যাদের বাদ পড়েছিল তাদের দিতে পারব। আগামী ৭ আগস্ট থেকে আমরা সারা দেশে আগের কেন্দ্রগুলোতে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারব। যারা প্রথম ডোজের টিকা যে কেন্দ্র থেকে নিয়েছিলেন, সেই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন।

মো. শামসুল হক বলেন, ‘যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস পেয়েছেন কিন্তু নেননি বা নিতে পারেননি তাদের দ্বিতীয় ডোজ এখান থেকে দেওয়া হবে। তার জন্য নতুন এসএমএস লাগবে না, আগের এসএমএস দেখালেই হবে। আগামী ৭ থেকে ১২ আগস্ট ইউনিয়ন পর্যায়ে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চলবে। তবে যারা যে এলাকায় রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই এলাকায় টিকা নেবেন। অন্য এলাকা থেকে টিকা নিলে তার তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যাবে না। সনদ পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন।’ 

আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আসলে রোগীর জন্য ডেথ বেড। আইসিইউতে গেলে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বলে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিন অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ হাসপাতালে ভর্তি হয়। জটিল অবস্থায় অনেকের অক্সিজেন দরকার হয়। অক্সিজেন এক ধরনের ওষুধ, এটি অপ্রয়োজনীয় বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করলে ক্ষতি হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর