শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
পূর্ণ মন্ত্রীবিহীন মন্ত্রণালয়

দুই কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষমতা প্রতিমন্ত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্বে, সেসব মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীরা সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে সরাসরি প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। প্রতিমন্ত্রীদের এ ক্ষমতা দিয়ে গতকাল পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগে এসব মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে (২০১৪-২০১৮) এ ধরনের ছয়জন প্রতিমন্ত্রীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এবার এ পরিপত্রের মাধ্যমে পূর্ণ মন্ত্রীবিহীন সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিমন্ত্রীকে এ ক্ষমতা দিল সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, সরকারের যেসব মন্ত্রণালয়-বিভাগে প্রতিমন্ত্রী নিয়োজিত আছেন এবং প্রধানমন্ত্রী ওই মন্ত্রণালয়-বিভাগের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন, সেসব মন্ত্রণালয়-বিভাগের সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত প্রস্তাব সরাসরি প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদনে বিষয়োল্লিখিত কমিটিতে উপস্থাপনের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, পূর্ত ও ভৌত কাজের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় ১০০ কোটি টাকা করে, পণ্য ও সেবা-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজে ১০০ কোটি টাকা, অনুন্নয়ন কাজে ৫০ কোটি টাকা এবং উন্নয়নমূলক পরামর্শক সেবার জন্য ৩০ কোটি টাকা, অনুন্নয়ন পরামর্শক সেবা কেনায় ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদনের ক্ষমতা মন্ত্রীর হাতে রয়েছে। তিন খাতে নির্ধারণ করে দেওয়া টাকার বেশি হলে তা সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। এসব ব্যয়ের ক্ষেত্রে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পূর্ণ মন্ত্রী নেই, প্রধানমন্ত্রী সেসব মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। এ কারণে এ ধরনের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্রয়-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হতো। প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে (২০১৪-২০১৮) ছয়জন প্রতিমন্ত্রীকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এরা হলেন মুজিবুল হক চুন্নু (শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়), স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), বীরেন শিকদার (যুব ও ক্রীড়া), মেহের আফরোজ (মহিলা ও শিশু) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর