সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

লোভে পড়ে প্রতারিত ঠেকাতে প্রচারণার পরামর্শ হাই কোর্টের

ফোনালাপে আড়ি পাতা নিয়ে আদেশ ২৯ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অফারে লোভে পড়ে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়া ঠেকাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালাতে পরামর্শ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল ফোনালাপে আড়ি পাতা প্রশ্নে করা রিট শুনানির একপর্যায়ে ই-কমার্স প্রসঙ্গে এমন পরামর্শ দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ। পরে ফোনালাপে আড়ি পাতা বন্ধের নিশ্চয়তা ও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে হাই কোর্ট।

ফোনালাপে আড়ি পাতা বন্ধ চেয়ে গত ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী রিটটি করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শুনানির একপর্যায়ে আদালত তার কাছে ই-কমার্স ব্যবসার বিষয়ে জানতে চায়। তখন শিশির মনির বলেন, আমাদের দেশে ই-কমার্স ব্যবসার নামে অনেক বেশি ফ্রি অফার থাকে, যা বিদেশি প্রতিষ্ঠান আলিবাবা, অ্যামাজনে থাকে না। আমাদের দেশের গ্রাহকরা অতি লোভে পড়ে প্রতারণার শিকার হন। তখন আদালত বলে, হ্যাঁ, আমরা তো দেখি, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি। বিমানের টিকিট কিনলে হোটেল ফ্রি। এ জন্যই গ্রাহকদের লোভ কমাতে জনস্বার্থে প্রচারণা চালান। ই-কমার্সে টাকা কীভাবে লেনদেন হয়, আদালতের এমন প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেই টাকাটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে যায়।

ই-কমার্স নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই ই-কমার্সের ব্যবসা রয়েছে। এটা জনপ্রিয় একটা পদ্ধতি। আমাদের দেশে ই-কমার্স ব্যবসা নতুন। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি তাদের অসাধু কার্যকলাপের জন্য ই-কমার্সের ব্যবসা পেছনের দিকে নিয়ে গেল। নতুন একটা ব্যবসায় মানুষজন কাজ করতে পারত। সেটাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসাটা নষ্ট করে ফেলা হলো।’

তিনি আরও বলেন, আমার জানা মতে ই-কমার্স নিয়ে কোনো আইন হয়নি। এটাকে আইনের আওতাভুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের ব্যবসা করবে, তাদের কাছ থেকে একটা সিকিউরিটি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে তাদের লাইসেন্স দেবে। সেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তাদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি মানি থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর