সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অবশেষে করোনা টেস্টে প্রস্তুত বিমানবন্দর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর মেশিনে করোনা টেস্টের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ছয় প্রতিষ্ঠানই সমন্বিতভাবে তাদের মেশিন স্থাপন থেকে শুরু করে পরীক্ষামূলক টেস্ট সবই শেষ। সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা টেস্টরান হিসেবে মেশিনগুলো চালিয়ে নিজেদের পরীক্ষাও করিয়েছেন। আগামীকাল থেকে প্রবাসীদের করোনা পরীক্ষার জন্য খুলে দেওয়া থাকবে এসব মেশিন। এখন প্রবাসীদের অপেক্ষা শুধু ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর। বাংলাদেশে আরব আমিরাতের দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ-আমিরাত ফ্লাইট চালু হবে। তবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্লাইট শুরু হবে। আরটি পিসিআর ল্যাব বসানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরীক্ষায় বিমানবন্দরে ১১টি আরটি-পিসিআর মেশিন বসানো হয়েছে। পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য ১০টি বুথ বসানো হয়েছে। একজন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করতে ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। অর্থাৎ ৩ ঘণ্টায় ১১৫০ এর মতো টেস্ট করা যাবে। তবে একবার টেস্ট করলে মেশিনকে কিছু সময় রেস্ট করানোর বিষয় আছে। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। এদিকে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান গতকাল বিশ্ব পর্যটন দিবসের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে আরটি-পিসিআর মেশিনে করোনাভাইরাস টেস্ট শুরু হবে। বিভিন্ন দেশে যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা ও ৬ ঘণ্টা পূর্বে বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করা বাধ্যতামূলক রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরীক্ষামূলক টেস্ট (টেস্ট রান) কাজ করছে। এটা যদি সাকসেসফুল হয়, আশা করি সাকসেসফুল হবে, তারপর আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে অবহিত করব। এয়ারলাইনসগুলোকেও সময় দিতে হবে, টিকিট কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদফতর যখনই জানাবে তারা টেস্টের জন্য রেডি, দিনে কতজন যাত্রী টেস্ট তারা হ্যান্ডেল করতে পারবে, তখনই আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে জানিয়ে দেব।’ জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগের আরটি-পিসিআর টেস্ট করানোর পর ফ্লাইটের ৬ ঘণ্টা আগে র‌্যাপিড পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বিমানবন্দরে র‌্যাপিড-পিসিআর মেশিন না থাকায় বন্ধই হয়ে যায় আমিরাতের ফ্লাইট। অন্যদিকে র‌্যাপিড-পিসিআর মেশিন দেশে না থাকায় এবং বিদেশ থেকে আনা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় বিমানবন্দরে দ্বিতীয় দফায় সাধারণ আরটি-পিসিআর মেশিনে টেস্ট করার জন্য সুযোগ চায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই রাজপথে আন্দোলন করতে থাকে প্রবাসীরা। পরে আমিরাতের পক্ষ থেকে আরটি-পিসিআর মেশিনে টেস্ট করার অনুমতি পাওয়া গেলে নেওয়া হয় সব ব্যবস্থা।

সর্বশেষ খবর