মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

উৎকণ্ঠা ব্যবসায়ী মহলে

৪৬ হাজার শিল্প-কারখানা পরিদর্শনে নামছে সরকার

রুহুল আমিন রাসেল

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের আলোকে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সারা দেশের ৪৬ হাজার ১০০ শিল্প-কারখানা পরিদর্শনে নামছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা। সংস্থাটি বলছে, এই পরিদর্শনে কারখানাগুলোর সমস্যাসমূ হ জানা হবে এবং তা সমাধানে সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরা হবে। এ নিয়ে টেনশনে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তারা। তবে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজনে কারখানার চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার।

বিডার তথ্যমতে- ৬৮ ধরনের শিল্প খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে, দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি বিবেচনায় ৩২টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে মোট ৪৬ হাজার ১০০টি কারখানাকে। তবে প্রথম তিন মাসে ৫ হাজার কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যবেক্ষণে যাওয়ার তিন দিন আগে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা কারখানা পরিদর্শন করে সমস্যার কথা জানব এবং তা সমাধানে সরকারকে সুপারিশ দেব। ফলে এখানে বিন্দুমাত্র ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমরা কোনো অ্যাকশনও নেব না। পরিদর্শনকালে চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে বেসরকারি খাতকে অর্থায়নের বিষয়টি এখনই বলছি না। আগে পরিদর্শন হোক। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এই পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কোনোভাবেই অভিযান নয়। এতে অভিযুক্তকে দন্ড দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং এর সমাধানের জন্য প্রয়োজনে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। ইতিমধ্যে এসওপি তৈরি করা হয়েছে, চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী টিমও গঠন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য পর্যালোচনা ও পরবর্তী কাজ করার জন্য সুপারিশ করা। চেকলিস্টে কাঠামোগত নিরাপত্তা, অগ্নিনিরাপত্তা, বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা, মেশিন নিরাপত্তা, বয়লার নিরাপত্তা, বিস্ফোরকজনিত নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার বিষয়টি রাখা হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে অনেকগুলো সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। বিডায় সেফটি সেল স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পেলে উদ্যোক্তাদের হয়রানি কমার পাশাপাশি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সহজ হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে দেশের শিল্পখাত উপকৃত হবে। শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ- বিসিআইর সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এটি পরিদর্শন নয়, বিষয়টিকে জরিপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এই জরিপে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও যুক্ত। আমরা সারা দেশের শিল্প-কারখানা সমূহের সমস্যা চিহ্নিত করে, তা সমাধানের তাগিদ দেব। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কোনো কোনো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক সহায়তা করবে, এটা আশা করছি। এফবিসিসিআইর এই সিনিয়র সহসভাপতি আরও বলেন, কারখানায় দুর্ঘটনা হলেই মালিকদের দোষারোপ করা হয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে যেসব সংস্থা লাইসেন্স দিয়ে থাকে তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। নিমতলীর অগ্নিদুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আলাদা কেমিক্যাল পল্লী গঠিত হলে, চুড়িহাট্টায় আগুনের দুর্ঘটনা ঘটত না। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রপ্তানিমুখী শিল্পের সঙ্গে অন্য শিল্পের শুল্ক বৈষম্য দূর করতে হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, শিল্প-কারখানা পরিদর্শনের উদ্যোগ ভালো। কারণ, বিপদ আসার আগে সমস্যা সমাধান ভালো। ঢালাওভাবে পরিদর্শন করতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটার আগে তা মোকাবিলার চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ একটু চাপ অনুভব করতেই পারেন। তবে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, এই পরিদর্শন সরকার ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে হচ্ছে। গত কয়েক দশকে দেশের শিল্প-কারখানায় একের পর এক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। বিশেষ করে ২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকান্ডে ১১২ জনের মৃত্যু, ২০১৩ সালে রানা প্লাজায় দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিকের প্রাণহানি, ২০১৬ সালে ট্যাম্পাকো ফয়েলসে অগ্নিকান্ডে ৪১ জন ও সবশেষ গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডসে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনা দেশের কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ব্যবসায়ীদের মতে, রপ্তানিখাতসহ সব শিল্প-কারখানা মনিটরিংয়ের জন্য একটি পৃথক ও স্বাধীন সংস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। কারণ, সারা দেশের ৩ থেকে ৪ লাখ শিল্প-কারখানা মনিটরিং করার মতো সক্ষমতা ও দক্ষতা শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কল-কারখানা অধিদফতরের নেই। দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানিখাতে বৈশ্বিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাপের কারণে রপ্তানিকারক কারখানাগুলো কমপ্লায়েসের আওতায় এসেছে। কিন্তু স্থানীয় শিল্পে কোনো চাপ নেই। আবার কোনো দুর্ঘটনা হলে, শুধু মালিককে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু কারখানা স্থাপন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে চলমান থাকা অবস্থায় যেসব ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পৃক্ততা রয়েছে, যাদের নজরদারি রাখার কথা, তাদের কেউ ধরে না। সব দোষ ও অভিযোগ একপেশেভাবে শুধু মালিকের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটাও অন্যায়। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডসে গত ৮ জুলাই সংঘটিত অগ্নিকান্ডে মৃত্যু হয় ৫২ জনের। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ঘটনার পর দেশের শিল্পখাতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এর আগেও রাজধানীতে বেশ কিছু অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনার পর থেকেই দেশের শিল্প-কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয়ে উঠে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে সভাপতি করে এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা শিল্প-কারখানাগুলোয় কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম চালাবেন। এ ছাড়া কমিটির কার্যক্রম বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকায় থাকছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাভুক্ত সংস্থা বিডা। পরিদর্শন কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতিও এরই মধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরিদর্শনের জন্য এরই মধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি শিল্প-কারখানার তালিকা সংগ্রহ করেছে জাতীয় কমিটি। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ হাজার কারখানায় পরিদর্শন করা হবে। পরে ধাপে ধাপে অন্য কারখানাগুলোরও কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা যাচাই করা হবে।

হাসেম ফুডসের দুর্ঘটনার পর পরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশের শিল্প-কারখানাগুলোয় পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে একটি অনুশাসন জারি করা হয়েছিল। এতে বলা হয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে বিডার নেতৃত্বে অবিলম্বে সব শিল্প-কারখানা সরেজমিন পরিদর্শনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিদর্শন চলাকালে শিল্প-কারখানাগুলোর অবকাঠামোগত পরিস্থিতি এবং অগ্নি ও অন্যান্য দুর্ঘটনা নিরোধে বিদ্যমান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। এ পর্যালোচনার ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্বও সুনির্দিষ্টভাবে বিডাই পালন করবে। অনুশাসনে এ নিয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানানো হয়। ওই অনুশাসনের পরই সালমান এফ রহমানকে সভাপতি করে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়। ২৪ সদস্যের কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব। অন্য সদস্যরা হলেন বাণিজ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভার মেয়র, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, বাণিজ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, শিল্প সচিব, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন), গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক, এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সভাপতি।

কমিটির জন্য নির্ধারিত কাজের মধ্যে রয়েছে সরেজমিন পরিদর্শনে পাওয়া পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ; কলকারখানা, সংশ্লিষ্ট আইনি কর্তৃপক্ষগুলোর কার্যক্রম পরিবীক্ষণ; কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসংক্রান্ত প্রায়োগিক আইন, বিধি, নীতিমালা, গাইডলাইন ও নির্দেশনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি, নীতিমালা, গাইডলাইন, নির্দেশনা পরিপালনের বিষয়টি পরিবীক্ষণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কলকারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কমিটি। এরই মধ্যে সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সভায় মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম সিদ্ধান্তটি হলো সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির কার্যপরিধি বিবেচনায় কাজের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ সচিব এবং শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালককে কমিটিতে কো-অপ্ট করতে হবে।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি হলো নতুনভাবে শিল্প-কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেওয়ার উপযোগী করে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে। এ কাঠামোর অধিক্ষেত্র, কার্যপরিধি, আইনগত এখতিয়ার ইত্যাদি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানকে আহ্‌বায়ক করে অন্যান্য বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হবে। সাব-কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। এ জন্য গঠিত সাব-কমিটিকে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য তিন মাস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ভিত্তিতে বিডার নেতৃত্বে গঠিত পরিদর্শন সাব-কমিটি ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোয় সভা আয়োজনের চার-ছয় সপ্তাহের মধ্যে পরিদর্শন শুরু করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সদস্য এফবিসিসিআই এরই মধ্যে শিল্প-কলকারখানা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনের পদ্ধতি ও চেকলিস্ট তৈরি করেছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর