শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তানে জুমার নামাজে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫৫

প্রতিদিন ডেস্ক

আফগানিস্তানে জুমার নামাজে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫৫

আত্মঘাতী হামলার পর বিধ্বস্ত মসজিদ -এএফপি

ফের রক্তাক্ত হলো আফগানিস্তান। কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা এটি। গতকাল জুমার নামাজ চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস-কে। এর আগে বিভিন্ন সময় শিয়াদের নিশানা করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘গোজার-ই-সৈয়দ আবাদ মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অনেক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন। এ সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, তালেবানের বিশেষ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে। রাত ১টায় শেষ খবর অনুযায়ী, হতাহতের এ সংখ্যা অনবরত বাড়ছিল। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স, ডন, আলজাজিরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় সময় বেলা দেড়টা নাগাদ এ বিস্ফোরণ ঘটে। এটি ছিল আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণ ঘটানোর পর মসজিদে বহু মুসল্লির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জুমার নামাজ শুরু হতেই স্থানীয়রা মসজিদে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান। বিস্ফোরণের পর শত শত মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালের প্রধান ফটকে জড়ো হন। তাদের আত্মীয়দের কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। অন্যদিকে মানুষের ভিড় ঠেকাতে সশস্ত্র তালেবানরা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। কুন্দুজের একজন নারাী শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণটি ঘটেছে তার বাড়ির কাছেই এবং তার বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীও এ সময় নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি খুব ভয়ংকর ঘটনা।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক হাসপাতালের কর্মী বলেন, আমরা ১৫টি লাশ পেয়েছি এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ৯০ জনকে। এখনো হাসপাতালে আসছেন অনেকে। এদিকে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, কুন্দুজকে তাজিকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল তালেবানরা। এ হামলার আগে কাবুলসহ আফগানিস্তানজুড়েই একাধিক ছোটবড় হামলা হয়েছে। সেসব হামলার দায় স্বীকার করেছে সুন্নি জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-কে। তালেবান আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম কি না তা নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। সাম্প্রতিক এসব হামলা সেই সন্দেহকে আরও জোরদার করছে। তালেবান যদিও দাবি করছে, তারা ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর