বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ শিগগিরই

------- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ শিগগিরই

শিগগিরই পূজামন্ডপে সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। রংপুর ও নোয়াখালীর ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা ইন্ধনদাতাদের নাম জানিয়েছেন। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তারা এসব নাম জানিয়েছেন। আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাদের নাম প্রকাশ করব। সেখানে বিএনপি-জামায়াত আছে  কি না তা এখনই বলতে চাইছি না। শিগগির সেই ইন্ধনদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলে গেছেন এ দেশ সবার; এ দেশে ধর্ম নিয়ে কোনো বৈষম্য হবে না। এ দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা সেই আদর্শ ধারণ করে চলেছি। কিন্তু ইদানীং পূজামন্ডপে কে বা কারা কোরআন শরিফ রেখে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শুরুতেই ধরে নিয়েছিলাম কোরআন শরিফ রাখা হয়েছে কোনো এক জায়গা থেকে। আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম, পুলিশের সকল পর্যায়ের টিম পাঠিয়েছিলাম, যাতে প্রকৃত ঘটনা উদ্্ঘাটিত হয়। সিসি ক্যামেরায় দেখলাম কেউ মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে হনুমানের গদার স্থানে রেখে গদা নিয়ে বেরিয়ে চলে এলেন। তাকে গ্রেফতার করেছি, নাম প্রকাশ করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার সহিংসতায় ১০টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সহিংসতা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য করেছে একটি মহল। কারা এসব ঘটিয়েছে তা শিগগির উদ্্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’ এনআইডি স্বরাষ্ট্রে আনার ব্যাপারে আইনি জটিলতা আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনআইডি আগে ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। আগে যারা ভোটার তাদেরই এনআইডি দেওয়া হতো। সারা বিশ্বে জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত এনআইডির আওতায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য বয়স থেকে এনআইডি চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসার ব্যাপারে কিছু আইনি জটিলতা আছে। তা দেখার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ফাইল। আইন মন্ত্রণালয় আইনগত দিক যাচাই-বাছাই করে দেখছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স। সে নির্দেশনা মেনেই আমরা কাজ করছি। আধুনিক বিশ্বে যে ক্রাইম তা সাইবারে চলে গেছে, সেখানে মোকাবিলা করতেও পুলিশকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। কারাগারে আসামিদের ক্রিমিনাল ডাটাবেজ তৈরি করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছি। ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করা হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগে তারা দ্রুত সেবা দিতে পারে। কিন্তু যদিও ট্রাফিক জ্যাম একটা বাধা, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় জোন করে দেওয়া হয়েছে। আনসারকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যাতে তারা পুলিশের সহযোগী হিসেবে ভিআইপি নিরাপত্তা দিতে পারে। কোস্টগার্ডকে আরও আধুনিক করতে হেভি জাহাজ ও স্পিডবোট কেনা হবে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা তাদের আটকের চেষ্টা করছি। এখানে নানামুখী বিষয় রয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। যারা পাঠিয়েছে তাদেরও ইন্ধন থাকতে পারে।’

সর্বশেষ খবর