বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। সুগার, তাপমাত্রাসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন উপসর্গগুলো ওঠানামা করছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটেই (সিসিইউ) তাঁকে এখন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুরনো জটিল রোগ থাকায় তাঁর চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালের ব্যবস্থাও অনেকটাই সীমিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, সুস্থতার জন্য দ্রুত তাঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। গত ১৩ নভেম্বর আবারও হাসপাতালে নেওয়া হলে বড় ধরনের কোনো উন্নতি নেই। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাকা হলে তারাও কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। সব চিকিৎসকই তাঁকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা প্রদানের সুপারিশ করেছেন। এভারকেয়ারের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম বেগম খালেদা জিয়ার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থাপনা করলেও পুরো কার্যক্রম সুপারভাইজ করছেন অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া  হাসপাতালে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও নিয়মিত দেখভাল করতে যাচ্ছেন এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন।

গত ১২ অক্টোবর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। ছয় দিন পর আবারও অবনতি হলে ১৩ নভেম্বর হাসপাতালেই ফিরতে হয় তাঁকে। দলীয়ভাবে পঞ্চমবারের মতো বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো অগ্রগতি নেই।

খালেদার দুই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে : মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ আদেশ দেয়। গতকাল দুই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। অন্যদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

সর্বশেষ খবর