পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নিয়ে হামলা ও সংঘাত চলছেই। নির্বাচনী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে গোলাগুলি হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে। বিজয়ী প্রার্থীরা পরাজিত প্রার্থীদের ওপর হামলা করছেন। নির্বাচনী সংঘাতে মামলা হচ্ছে। অনেক এলাকার মানুষ মামলা আতঙ্কে রয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সৎ শাশুড়ির কথামতো ভোট না দেওয়ায় ছেলের বউয়ের চোখ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সৎ শাশুড়ির কথামতো ভোট না দেওয়ায় ছেলের বউয়ের চোখ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের তালগাছিয়া এলাকায়। তিনি উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিবার্চনে সৎ শাশুড়ি জনুপা বেগমসহ ২-৩ জন লোক ছেলের বউকে এক মেম্বার প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেন। কিন্তু ছেলের বউ ওই প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে অপর এক মেম্বার প্রার্থীকে ভোট দেন। এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হন তার সৎ শাশুড়িসহ অন্যরা। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় শাশুড়ির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে শাশুড়ি টিনের খন্ড দিয়ে ছেলের বউ আমেনা খাতুনের বাম চোখে আঘাত করেন। এতে আমেনা খাতুনের চোখ বেয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আমেনা খাতুনের স্বামী শাহাবুদ্দিন জানান, তাদের কথামতো ভোট না দেওয়ায় আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে চোখে টিনের একটি খন্ড দিয়ে আঘাত করে। এতে চোখের মণির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ভোটের কারণে আমার স্ত্রীর চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘোড়া প্রতীকে ভোট না দেওয়ার অজুহাত তুলে বৃদ্ধ আকবর আহমদ (৬০) ও তার দুই ছেলে মোর্শেদ আলম (৩৮) ও জমসেদ আলমকে (৩৫) পিটিয়ে জখম করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মক্কি ইকবাল হোসেনের সমর্থকরা। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কৈয়াবিল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড খোজাখালী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পিতা ও দুই ছেলেকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কুমিল্লার বরুড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশকে ছুরিকাঘাত, মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের মকসুদপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        