সামরিক যুদ্ধের পথে না গিয়ে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশটি আগের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে নতুন করে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে হাঙ্গেরিসহ বেশ কিছু দেশ এসব নিষেধাজ্ঞার সরাসরি বিরোধিতা করেছে। ন্যাটো সামরিক জোটেও সব মিলিয়ে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পর্যন্ত পরিষ্কার বলেছেন তিনি আর ন্যাটোয় যেতে চান না। এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, কিয়েভে রুশ বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। সুমি শহরে বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন, এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকেও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। কিন্তু মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল-গ্যাস-কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে রাশিয়া থেকে ব্যবসা গোটাতে শুরু করে একের পর এক কোম্পানি। আইবিএম থেকে শুরু করে পিৎজা হাট, কোকাকোলা, স্যামসাং, ম্যাকডোনাল্ডসসহ একাধিক কোম্পানি ব্যবসা বন্ধ করে দেয় মস্কোয়। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাশিয়াও উল্লেখ করেছে, আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে।
ন্যাটো জোটে বিভক্তি : এ প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভাঙনের মুখে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোট। রুশ আগ্রাসনের মুখে থাকা ইউক্রেন বিমান বাহিনীর ব্যবহারের জন্য পোল্যান্ড যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার পোল্যান্ড তাদের মিগ-২৯ বিমানের বহর ‘অবিলম্বে ও বিনা খরচে’ জার্মানিতে থাকা মার্কিন রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে দ্রুতই ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের যুক্তি বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত পোল্যান্ড নিজেই নিতে পারে। এ ছাড়া ইউক্রেন সীমান্তের বাইরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার ছাপ পড়তে দিতে অস্বীকৃতি জানায় ওয়াশিংটন।
কথা বলতে চান না আরব নেতারা : রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিবাদে দেশটির জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিকল্প উৎসের খোঁজ চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা করবেন বলে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতাদের ফোন করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যখন ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে তখনই এ খবর জানা গেল। যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ জায়েদ আল-নাহিয়ান উভয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতার কথা জানান। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট যুক্তরাষ্ট্রের আরও সাহায্য চায়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মুহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তাও চায় সৌদি আরব।
কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করবে রাশিয়া : পশ্চিমা দেশে কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধের ডিক্রিতে সই করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ডিক্রিতে লক্ষ্য হিসেবে বলা হয়েছে ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা ও শিল্পের নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিশ্চিত করা’। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্যের তালিকা এবং কোন কোন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তা নির্ধারণ করবে রাশিয়ার মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাঁচামাল রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল ও গ্যাস আমদানি তাৎক্ষণিক নিষিদ্ধ করেছে। আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে তারা ধাপে ধাপে রুশ তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলবে। গতকাল রাশিয়া সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ‘দ্রুত জবাব’ দিতে তাদের নেতারা কাজ করছেন। খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ‘ব্যাপক জবাব’ দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। তারা বলছে, এ জবাব হবে ‘দ্রুত’ এবং ‘অধিকাংশ সংবেদনশীল ক্ষেত্রে’। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভাগের পরিচালক দিমিত্রি বিরিচেভস্কি বলেন, রাশিয়ার জবাব হবে দ্রুত, দূরদর্শী ও সংবেদনশীল।
কিয়েভে বোমাবর্ষণ : ইউক্রেনের দাবি, রুশ হামলা অব্যাহত থাকায় তারা অবরুদ্ধ শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারছে না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশ এলাকায় রুশ বাহিনী আবারও বোমা বর্ষণ করেছে। গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, কিয়েভ ও আশপাশ এলাকায় অবস্থানরত সাংবাদিকরা বিস্ফোরণের ধারাবাহিক খবর দিচ্ছেন। শহরজুড়ে আবারও বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। অন্তত চারটি শহরজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজছে। গতকাল সকাল থেকে দেশটির এসব শহরে সাইরেন শোনা যায়। রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও চেরনিহিভ, লুবনি, পোলতাভা ও ভ্যাসিলকিভে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এ অবস্থায় অনেকেই বাংকারে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
আরেক খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে রাশিয়ার বিমান হামলায় তিন শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়েছেন। সুমি শহর কর্তৃপক্ষের দাবির বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো এ খবর জানায়। সুমির আঞ্চলিক গভর্নর দিমিত্র ঝিভিৎস্কি বলেন, মঙ্গলবার রাতে শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। রাতে মোট তিনবার বোমা হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল একটি ভয়াবহ রাত। শহর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী রুশ বিমান হামলায় এক বাড়িতেই নয়জন নিহত হয়েছেন। ছয়টি ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০টি বাড়ি।
ন্যাটোয় আর যোগ দিতে চায় না ইউক্রেন : যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টিতে আর জোর দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ বিষয়ে জেলেনস্কি একজন দোভাষীর মাধ্যমে এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাঁর সাক্ষাৎকারটি স্থানীয় সময় সোমবার রাতে প্রচার করা হয়। এ সাক্ষাৎকারে তিনি ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে কথা বলেন। ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্যপদ-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি অনেক আগেই এ ব্যাপারে শান্ত হয়েছি, যখন বুঝতে পেরেছি যে ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়। তাই আমি এখন আর ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘ন্যাটো বিতর্কিত বিষয়গুলোকে ভয় পায়। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের ব্যাপারেও ন্যাটো শঙ্কিত।’ জেলেনস্কি এও বলেন, ‘আমি এমন একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাই না যে দেশটি হাঁটু গেড়ে কিছু ভিক্ষা করে।’
যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইউক্রেনকে রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি রয়েছে। পুতিন চান এ দুটি এলাকাকে ইউক্রেন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিক। রাশিয়ার এ দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলেনস্কি বলেন, ‘দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিষয়ে একটা “আপস” করার জন্য আমি খোলা মনে আছি।’ জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা বলছি। এ দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আমরা এ অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারি।’
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জেলেনস্কির এমন মন্তব্যে যুদ্ধ সমাপ্তির নতুন আশা দেখা যাচ্ছে। কারণ রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে মূলত এ দুটি ‘অজুহাতে’। তারা আরও বলছেন, জেলেনস্কি এখন একটি সমঝোতার জন্য জোর চেষ্টাও করছেন।
রাশিয়াকে আর সাত-দশ দিন ঠেকিয়ে রাখতে চায় ইউক্রেন : ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভাদিম ডেনিশেঙ্কো দাবি করেছেন, অন্তত যে কোনো প্রকার বিজয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে রাশিয়া। এ ক্ষেত্রে বন্দরনগরী মারিয়োপোল কিংবা রাজধানী কিয়েভ সবচেয়ে পছন্দের লক্ষ্যবস্তু। এক ফেসবুক পোস্টে ভাদিম ডেনিশেঙ্কো লিখেছেন, ‘চূড়ান্ত আলোচনায় বাধ্য হওয়ার আগে আমাদের অন্তত কিছু বিজয় দরকার। সে কারণে আমাদের কাজ হলো আগামী সাত থেকে দশ দিন টিকে থাকা।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন : ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তাঁর লক্ষ্য দেশটির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রতিও জেলেনস্কিকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইউক্রেনে সরকার হঠাতে সুর পরিবর্তন করছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করছে, ইউক্রেনে তারা আলোচনার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে চান, দেশটির সরকার হটানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। রাশিয়া আরও দাবি করেছে, ইউক্রেনের ১ লাখ ৪০ হাজার নাগরিক পালিয়ে তাদের দেশে এসেছেন। ইউক্রেনে তারা পরিকল্পনা অনুসারেই কাজ করছেন।
এ প্রসঙ্গে গতকাল রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা বলেন, ‘রাশিয়ার লক্ষ্য ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ করা। অর্থাৎ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। আর এটা তারা আলোচনার মাধ্যমে করতে চায়।’ পরবর্তী ধাপের আলোচনায় এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তুরস্কে বসছেন রাশিয়া ও ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা : রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা তুরস্কে বৈঠক করবেন। লাভরভ ও কুলেবার মধ্যে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকটি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, লাভরভ একটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ফোরামের আয়োজনে যোগ দিতে তুরস্কের আন্টালিয়ায় যাবেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কুলেবার বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সংবাদ সূত্রগুলো আভাস দিয়েছেন, এ বৈঠকটি আজও শুরু হতে পারে। এর পরদিন কূটনৈতিক ফোরামের অনুষ্ঠান হতে পারে।
রাশিয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ : যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক জৈব কর্মসূচিতে অর্থায়ন করেছে। রাশিয়ার আরও অভিযোগ, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত জৈব সামরিক কর্মসূচিতে অ্যানথ্রাক্স, প্লেগ রোগের মতো জীবাণু রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দফতর পেন্টাগন রাশিয়ার অভিযোগ ‘হাস্যকর’ দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এ অভিযোগ তুলে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে তাঁরা জৈব কর্মসূচি গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের সশস্ত্র বাহিনী অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্লেগ, কলেরা, অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে।