বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বৈদেশিক ঋণের কম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

জিডিপি হতে পারে ৬.৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি আরও বলেছে, সরকারি এবং বৈদিশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম ঝুঁকিতে রয়েছে।

গতকাল ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট-রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স অ্যামিড গ্লোবাল আনসারটেইনিটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে এ কথা জানায় বিশ্বব্যাংক। ঢাকা ও ওয়াশিংটন থেকে একযোগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে এমন একসময় এ ধরনের ইতিবাচক প্রতিবেদন দিল যখন শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। আর পার্শ্ববর্তী ওই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে কেউ কেউ সতর্কবার্তা দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, কভিড-১৯ মহামারি থেকে বাংলাদেশ অর্থনীতি দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবা খাতের গতি বাড়ায় মধ্য মেয়াদে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং-২০২২’ প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, কভিডের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ধারা এখনো শক্তিশালী। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে যদি পোশাক রপ্তানির বাজার অংশীদারত্ব ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো করেছে। চলতি অর্থবছরে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে।

 

সর্বশেষ খবর