শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ইতিহাস গড়লেন লিটন মুশফিক

আসিফ ইকবাল

ইতিহাস গড়লেন লিটন মুশফিক

লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনই করেছেন সেঞ্চুরি -রোহেত রাজীব

৪১ বলে ৫ উইকেটের পতন! স্কোর বোর্ডে লেখা ২৪ রান। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। শঙ্কা জেগেছে পঞ্চাশের নিচে অলআউটের! আত্মবিশ্বাসে তখন ফুটছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। কোণঠাসা টাইগাররা। দিনশেষে চিত্রটা অবশ্য এমন আর থাকেনি। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে খেলার প্রথম দিনের চিত্রটাই পাল্টে দিয়েছেন। ইতিহাস গড়েছেন। দুজনে তিন অঙ্কের জাদুকরি  ইনিংস খেলে দলকে দিয়েছেন শক্ত ভিত। গড়েছেন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নতুন রেকর্ড। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুইশ’র(২৫৩*) উপর রানের জুটি গড়েছেন। আগের রেকর্ড ১৯১ রানের। ২০০৭ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিক জুটি। জুটির হিসাবে এটা যেমন টাইগারদের রেকর্ড, তেমনই ২৫ রানের নিচে ৫ উইকেট হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার পর সর্বোচ্চ রানেরও বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০২১ সালে গলে ১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা যখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত, তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া দ্য সিলভা ১০০ রান যোগ করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়ানো টাইগারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ব্যাটিং করা মুশফিক ও লিটনের ২৫৩ রান আবার ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড! সেটা ৫০ রানের নিচে ৫ উইকেট হারানোর পর। আগের রেকর্ড ছিল দুই লঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্দিমল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ২১১ রান, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর ৩৯৯, কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৬ সালে। একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলছে মুমিনুল বাহিনী। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই লঙ্কান দুই পেসারের সুইং, গতি ও বাউন্সে নাজেহাল হয়ে পড়ে টাইগার ব্যাটাররা। ৬.৫ ওভার বা ২৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান চট্টগ্রাম টেস্টে ১৬২ রানের ভিত দেওয়া দুই ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, অধিনায়ক মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। এরমধ্যে শূন্য রানে আউট হয়েছেন জয়, তামিম ও সাকিব। অথচ মাত্র ১৯ রান করলেই মুশফিকের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজারি ক্লাবের সদস্য হতেন তামিম। ২৪ রানে প্রথম ৫ ব্যাটারকে হারানোর পর মুশফিক জুটি গড়েন ছন্দে থাকা লিটনের সঙ্গে। দুজনে ধীরে ধীরে দিনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। ৭৮.১ ওভারে যোগ করেন ২৫৩ রান। এরমধ্যে মুশফিক ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত রয়েছেন ১১৫ রানে। ২৫২ বলের ইনিংসটিতে রয়েছে ১৩টি চার। চট্টগ্রাম টেস্টেও ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। লিটনের দুর্ভাগ্য ছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। ৮৮ রানে আউট হয়েছিলেন। গতকাল ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন ২২১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায়। ক্যারিয়ারে এটা লিটনের তৃতীয় সেঞ্চুরি। চলতি বছরে দ্বিতীয়। নিউজিল্যান্ড সফরে সেঞ্চুরির ইনিংস ছিল ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটারের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর