শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

১ লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসনের প্রস্তাব মোমেনের

প্রতিদিন ডেস্ক

১ লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসনের প্রস্তাব মোমেনের

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে সরব দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসের সঙ্গে গত রবিবার এক বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব দেন। সূত্র : বাসস।

রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠক হয় বলে গতকাল লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন দেওয়া ও বাংলাদেশের ওপর অন্যায্য বোঝা কমানোর কথা তুলে ধরে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে  ‘বৈশ্বিক নেতা’ হিসেবে যুক্তরাজ্যকে এই প্রস্তাব দেন মোমেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবিলম্বে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভার বাংলাদেশ আর বইতে পারছে না। মোমেন ট্রাসের কাছে দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকায় সে দেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের অচলাবস্থার কথা তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ৭০ ও ৯০-এর দশকে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এবং পরবর্তীকালে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা ও চুক্তির মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক তথ্যের কথা উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ওই সময়ে পশ্চিমাদের অবরোধের শিকার হয়ে মিয়ানমার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ঘটছে না। বরং আইসিজেতে বিচারের রায় এবং রোহিঙ্গাদের ওপর তাদের নিপীড়নের জীবন্ত প্রমাণ সত্ত্বেও ব্রিটেন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ মিয়ানমারে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে মিয়ানমারে আড়াই শ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং ৫০ কোটিরও বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করেছে, তাদের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করা প্রয়োজন। অন্যদিকে মিয়ানমারে বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্রিটিশ সরকারের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে ট্রাস রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ এই মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, আসিয়ান ও জি ৭ দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে।

মোমেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা কম দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরলে ব্রিটিশ মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার্থীর কম সংখ্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবছর অন্তত ৭ থেকে ৮ হাজার উচ্চশিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাজ্যে যেতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভিসা সুবিধা ঢাকাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

সর্বশেষ খবর