রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘ লাইন শ্রীলঙ্কায়

প্রতিদিন ডেস্ক

ভয়াবহভাবে জ্বালানি তেলের সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। ফলে রেশনিং করে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এ তেল পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টাই শুধু নয়, দিনের পর দিনও লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ লাইনে থেকে অনেকে গাড়িতেই ঘুমিয়ে সময় কাটাচ্ছেন, আবার অনেকে রাস্তাকেই বিশ্রামের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তারপরেও শেষ অবধি তেল মিলছে না। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেলের কোনো চালান শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেনি। এ দ্বীপ দেশের যেখানে যা মজুদ বাকি আছে, তা পাঠানো হচ্ছে রাজধানীর জরুরি চাহিদা মেটাতে। রাজধানী কলম্বোর একটি পেট্রোল স্টেশনের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো আজিওয়ান সদাশিবম নামে একজন গণমাধ্যমকে জানান, দুই দিন পার হয়ে গেছে, কিন্তু তার গাড়ির কপালে তেল জোটেনি। তিনি উল্লেখ করেন, কোনো কাজে যখন লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়, সবাই চাইবেন সবার সামনে প্রথম জায়গাটি দখল করতে। সে জায়গাটি তিনি পেয়েছেন, কিন্তু জানেন না কত দীর্ঘ সময় তাকে অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি গাড়িতেই ঘুমাচ্ছি। মাঝেমধ্যে বাইরে চলে যাই, খাবার খাই। তারপর আবার ফিরে এসে অপেক্ষা করি। কয়েকদিন গোসলও করিনি।’ দেখা গেছে, পাম্পে সদাশিবমের গাড়ি দিয়ে যে লাইনের সূচনা হয়েছে তা সড়কের পাশে সাপের মতো এঁকেবেঁকে দুই কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের ধারে গিয়ে শেষ হয়েছে। ওই এক লাইনই শেষ নয়। পাশাপাশি মোট চারটি লাইন। একটি কারের জন্য, একটি বাস ও ট্রাকের জন্য, বাকি দুটি মোটরসাইকেল ও টুক-টুকের জন্য। ভুক্তভোগীরা জানান, পেট্রোলের জন্য শুধু অপেক্ষা করলেই হবে না, তেল পাওয়ার জন্য দেখাতে হবে টোকেন। বেশিরভাগ পেট্রোল স্টেশন একবারে দেড় শর বেশি টোকেন ছাড়েন না। কিন্তু তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গাড়ি তেলের জন লাইনে অপেক্ষা করছে।

লাইনে দাঁড়ানো আথুকোরালা নামে একজন বলেন, ‘আমি আজ টোকেন পাব কি না সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নই। গ্যাস আর পেট্রোল ছাড়া আমরা চলতে পারি না। আমরা বিরাট সমস্যার মধ্যে রয়েছি।’ তিনি জানান, এখন নিজের গাড়িতেই তাকে ঘুমাতে হচ্ছে। কিছু পেট্রোল স্টেশন শুধু স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য বিতরণ এবং গণপরিবহনের মতো জরুরি পরিবহনগুলোকে তেল দিচ্ছে। অন্যদের দেওয়া হচ্ছে কঠোর রেশনিংয়ের মাধ্যমে, সামান্য পরিমাণে।

সর্বশেষ খবর