শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছেই

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সারা দেশ শিডিউল ভেঙে ১ ঘণ্টার জায়গায় ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছেই

দেশজুড়ে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনে-রাতে কয়েক দফায় ঢাকার বাইরে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও কোনো কোনো এলাকায় একাধিকবার লোডশেডিং দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এলাকাভেদে ১ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা। বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। হিমাগারে খাবার সংরক্ষণে ঝামেলা হচ্ছে। কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে সমস্যায় পড়ছেন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে কষ্ট হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি আগামীতে আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাসহ ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলে এ সংকট বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশজুড়ে এখন পরিকল্পিত লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে এই লোডশেডিং দিচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় বিতরণ কোম্পানিগুলো কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং দেওয়া হবে প্রতিদিনের তালিকা প্রকাশ করছে। ঢাকার বাইরেও লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে, গতকাল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। আর উৎপাদন হয় ১২ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ২৬৫ মেগাওয়াট।

রাজধানীতে সন্ধ্যার পর ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে বেশি হয় বলে জানা যায়। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার শিল্প উৎপাদন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা হাঁসফাঁস করছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা, শিক্ষা ও কৃষিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়।

রাজধানীতে লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সব বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বেশি। শ্যামলীর বাসিন্দা জবা আক্তার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার তিন বছর বয়সী শিশুটি রাতে লোডশেডিং হলে ঘেমে যায়। গরমে ঠাণ্ডা লেগেছে। আবার অন্ধকার হয়ে গেলে ভয় পায়, কান্নাকাটি করে।

অন্যদিকে মিরপুর ১২ নম্বরের ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা আশফাক হোসেন বলেন, অনেক দিন লোডশেডিং হয় না। এখন হঠাৎ হওয়ায় বেশ অসুস্থ অনুভব করছি। সাধারণত রাতে ঘুমের সমস্যা হয় না; কিন্তু কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় রাতের ঘুমে খুব সমস্যা হচ্ছে।

এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্যাওড়াপাড়ার বাসিন্দা পারমিতা পারভিন। তিনি বলেন, আমার বিল্ডিংয়ে ১২টি ফ্ল্যাট আছে। আমার পানির মোটর দিয়ে দিনে কয়েকবার পানি তুলতে হয়। কিন্তু এখন লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পানি তুলতে পারছি না। পানি আগে থেকেই সংরক্ষণ করতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার আশপাশে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের মতো শিল্পপ্রধান এলাকায় নিয়ম মেনে লোডশেডিং হচ্ছে না। আবার ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। ঢাকার বাইরে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র নষ্ট হতে শুরু করেছে। আবার লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জিং ফ্যান, লাইট, আইপিএসের বিক্রি বেড়েছে।

লোডশেডিংয়ে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। বিশেষ করে কম্পিউটারের দোকান, ব্যবসায়ী, টেইলার্স, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারে জড়িত ব্যবসায়ীদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বিদ্যুৎ রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। গতকালও ডিপিডিসির চাহিদা ছিল ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের। আমরা পেয়েছি ১ হাজার ১৯০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ঘাটতি ছিল ১১০ মেগাওয়াট। আমরা আপাতত এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের মধ্যেই থাকতে চাচ্ছি। কিন্তু আমরা যদি কাক্সিক্ষত বিদ্যুৎ না পাই তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর।

চট্টগ্রামে দিনে-রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে : চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিলেও দিনে-রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে অফিস, বাসা ও হাসপাতালে অবস্থানরতরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া শিডিউল ঠিকমতো মানছে না। শহরের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার গ্রাহকদেরও লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পাবনায় বিপর্যস্ত জনজীবন : পাবনায় মানা হচ্ছে না এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনে কয়েক দফায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।

অতিষ্ঠ সিদ্ধিরগঞ্জবাসী : ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ। কয়েক দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডে তীব্র লোডশেডিং চলছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

গাজীপুরে চার-পাঁচবার লোডশেডিং : জেলার কোনো কোনো এলাকায় দৈনিক ৪/৫ বার লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে না থাকায় লোডশেডিংয়ের শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না। জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১০৫০ মেগাওয়াট। ঘাটতি রয়েছে ৩২০ মেগাওয়াটের।

ময়মনসিংহে রুটিন মানছে না : ময়মনসিংহেও গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। ঘোষণা অনুযায়ী একটি এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা লোডশেডিং করার কথা ছিল। শুরুর দিন ওই নিয়ম বেশির ভাগ এলাকায় মানা হলেও এখন ২ ঘণ্টার রুটিন লোডশেডিং গিয়ে ঠেকেছে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টায়। সবচেয়ে বিপাকে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহকরা (আরইবি)।

বাগেরহাটে ব্যাহত শিল্প উৎপাদন : বাগেরহাটে ঘন ঘন লোডশেডিং করছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বাগেরহাট শহর ও মোংলায় বিদ্যুৎ বিভাগ সকাল ও সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও লোডশেডিং করছে। জেলার ৯টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোডশেডিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এসব এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না।

নাকাল শেরপুরবাসী : অব্যাহত গরম আর লোডশেডিংয়ে নাকাল শেরপুরবাসী। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে এক ঘণ্টা পরপর এক ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টায় তিন-চারবার লোডশেডিং হলেও টানা ২/৩ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে গ্রাহকরা জানিয়েছেন।

মিল্লা নগরীতে কম, গ্রামে দীর্ঘ লোডশেডিং : কুমিল্লার প্রায় সবকটি উপজেলায় বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুধু কুমিল্লা নগরীতে লোডশেডিং কম হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের কারণে দুগ্ধ শিল্প উৎপাদন ও সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, কুমিল্লার চার সমিতির অন্তর্ভুক্ত উপজেলাগুলোয় দিনে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা আছে। নিয়মিত ১০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়। প্রয়োজনের তুলনায় গড়ে ২০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পান গ্রামাঞ্চলের লোকজন। ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা নগরীর জন্য দৈনিক গড়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। এর বাইরে বেশি বিদ্যুতের দরকার হলে ক্রমান্বয়ে লোডশেডিং করা হয়।

কুমিল্লা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রামাণিক জানান, কুমিল্লা অঞ্চলের ছয় জেলায় চাহিদা ১৪৪০ মেগাওয়াট। বৃহস্পতিবার পেয়েছি সর্বোচ্চ ১০৩০ মেগাওয়াট।

সাতক্ষীরায় নাকাল জেলার ২২ লাখ মানুষ : সাতক্ষীরায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার অনন্ত ২২ লাখ মানুষ। ভোর, দুপুর এবং রাতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়ার কথা থাকলেও দিনে ও রাতে মিলিয়ে ১৫/১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে।

নোয়াখালীতে বেহাল দশা : নোয়াখালীতে বিদ্যুতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ফলে কার্যত জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় এক মাস আগে থেকে দৈনিক ৬/৭ ঘণ্টা কোনো কোনো দিন ৮/৯ ঘণ্টা লোডশেডিং করে আসছে পিডিবি ও নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

হিসাব মিলছে না রাজশাহীতে : রাজশাহীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লোডশেডিংয়ের শিডিউলও তৈরি করেছে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের হিসাব মিলছে না। যখন তখন লোডশেডিং হচ্ছে। শিডিউলের বাইরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং : চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রায় সব এলাকায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। কোনো স্থানেই লোডশেডিংয়ের তালিকা মানা হচ্ছে না।

নারায়ণগঞ্জে ক্ষতি হচ্ছে ক্ষুদ্র শিল্পের : লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। প্রায় সব এলকায় দিনে ৪/৫ বারে ৩/৪ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। উচ্চবিত্তদের ঘরে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও তীব্র গরমে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি শিল্প ও তৈরি পোশাক কারখানা, ছাপাখানাসহ অন্তত ৫ হাজার কোটির শিল্প রয়েছে।

নীলফামারীতে রোটেশন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ :  এলাকাপ্রতি এক ঘণ্টা  লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও পুরো চিত্রই আলাদা। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সরবরাহ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে। গ্রুপ অনুযায়ী এক ঘণ্টা লোডশেডিং করে আবার দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রোটেশন অনুযায়ী এভাবে আপাতত চালাতে হচ্ছে।

গাইবান্ধায় অতিষ্ঠ জনজীবন : গাইবান্ধায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত  পাঁচ থেকে ছয়বার বিদ্যুতের যাওয়া-আসা চলছে। প্রতিবার বিদ্যুৎ গেলে পরবর্তীতে ফিরে আসতে সময় লাগছে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা। গ্রামাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।

বগুড়ায় লোডশেডিং চরমে : বগুড়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিং এখন চরমে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গৃহবাসী। সামনে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীরাও রয়েছে বিপাকে। জেলায় চাহিদার বিপরীতে অর্ধেক বিদ্যুতও মিলছে না। যে কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে।

অতিষ্ঠ খাগড়াছড়ির গ্রাহক : খাগড়াছড়িতে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। তবে গ্রাহকদের এ অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ। গ্রাহকরা জানান, প্রতিদিন দৈনিক তিনবার করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রথম দফায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা গ্রাহকদের বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়। এভাবে তৃতীয় দফা পর্যন্ত লোডশেডিং চলে।

শ্রীমঙ্গলে শিডিউল বিপর্যয় : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এ উপজেলায় কোনোভাবেই লোডশেডিংয়ের সিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না। শহর ও শহরতলির সাতটি ফিডারে গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎ ঘাটতি ২৫ ভাগ : সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও রুটিন মতো বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতটি ফিডারে পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টায় দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরেও মাঝে মাঝে অনির্ধারিত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গাবাসীকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর