সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

খাদ্যপণ্য রপ্তানির প্রস্তুতি ইউক্রেনের বন্দর থেকে

প্রতিদিন ডেস্ক

বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের মুখে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের গম, ভুট্টা ও তেলবীজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে কৃষ্ণসাগরের অবরোধ তোলার বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেছে রাশিয়া। দ্য গার্ডিয়ান।

শিপিং কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি শস্য ব্যবসায়ীরা রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এখনো জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা এবং শস্য পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত বিমা নিশ্চিত করার মতো বেশ কিছু বাধা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তারা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইউক্রেনের উপকূলীয় জলসীমা মাইনমুক্ত করতে হবে অথবা অন্ততপক্ষে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডোর তৈরি করতে হবে। এ কাজে কতটা সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে কিয়েভ থেকে ভিন্ন ভিন্ন কথা শোনা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এতে ন্যূনতম ১০ দিন থেকে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।

খবরে বলা হয়, যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে জমা হওয়া প্রায় ২ কোটি টন শস্য পরিবহনের জন্য অন্তত ৪০০টি কার্গো জাহাজের দরকার পড়বে, যার প্রতিটিতে ৫০ হাজার টন শস্য তোলা যাবে। শিপিং বিশ্লেষকদের ধারণা, অন্য রুটের জাহাজগুলো ঘুরিয়ে কৃষ্ণসাগরে আনতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। এটি নির্ভর করছে মূলত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে জাহাজের প্রাপ্যতার ওপর। কৃষ্ণসাগরে অবরোধের কারণে ইউক্রেনীয় সরকার ও কৃষি উৎপাদকরা রেল, সড়ক ও নদীপথে রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক শস্য কাউন্সিলের (আইজিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত জুনে ইউক্রেনের এ ধরনের রপ্তানি রেকর্ড ২৩ লাখ টনে পৌঁছেছে। তারপরও যুদ্ধ শুরুর আগে দেশটি সমুদ্রবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ শস্য রপ্তানি করত, এটি তার তিন ভাগের একভাগ মাত্র। আইজিসির হিসাবে, নতুন শস্য রাখার জায়গা করার জন্য ইউক্রেনকে আগামী তিন মাস প্রতি মাসে অন্তত ৭০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করতে হবে। আইজিসির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আলেকজান্ডার কারাভায়েতসেভ বলেন, ফের চালু হওয়ার পর প্রথম মাসে ৫০ লাখ টন শস্য পরিবহনও খুব চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আমাদের হিসাবে, ইউক্রেনের বন্দরগুলো আবার খুলে দেওয়া হলেও অতিরিক্ত গুদামের প্রয়োজন পড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর