শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল তাঁর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা আর পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। জ্বালানি তেলের দাম একলাফে এত বাড়ার কারণে পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে। সরকার বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোর জন্য জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তবে সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা হচ্ছে। গত ছয় বছরে বিপিসি যে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে, সেই টাকার হিসাবেও ‘কোনো স্বচ্ছতা নেই’ বলে অভিযোগ এনেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি। এই আলোচনার মধ্যে বুধবার বিপিসি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, এখন ডিজেল বিক্রি করে তাদের প্রতি লিটারে ৬ টাকা লোকসান হলেও অকটেনে প্রতি লিটারে লাভ হচ্ছে ২৫ টাকা। সরকারি দরে ডলার কিনলে এবং জুলাই মাসের মতো বিক্রি হলে শুধু ডিজেল-অকটেন থেকে প্রতি মাসে ২০৫ কোটি টাকা মুনাফা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ‘বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসির চেয়ারম্যান তো প্রেসে বিস্তারিত বলেছেনই। ওটাই মন্ত্রিসভায় অবহিত করা হয়েছে। ‘বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে কি দেশেও কমবে’- এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো নিয়ে তো ওনারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন। আজ বলে দেওয়া হয়েছে, কারণ এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। স্বল্প পরিসরে আমি ব্যাখ্যা দিলে অনেক প্রশ্ন আসবে, উত্তরও হয়তো দেওয়া যাবে না। এ জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের আবার ব্রিফ করতে বলা হয়েছে। ‘সিপিডি বলেছে, সরকার যে যুক্তিতে দাম বাড়িয়েছে এটা তারা করতে পারে না’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ জিনিসগুলোই আলোচনা হয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বিপিসিতে বলা হয়েছে তারা যাতে ইমিডিয়েটলি জিনিসগুলো ক্লারিফাই (স্পষ্ট) করে। ‘সরকার কি জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে’- জবাবে সচিব বলেন, এগুলো ওনারা (মন্ত্রণালয়) ব্রিফিংয়ে সব ক্লিয়ার করবেন। আজ মূলত তারা পুরো ক্যাবিনেটকে ব্রিফ করেছে। এ বিষয়ে ক্যাবিনেট কোনো মতামত দেয়নি, তবে যে ওপিনিয়ন (মতামত) দিয়েছে- জ্বালানি মন্ত্রণালয় যাতে এ বিষয়টি ক্লারিফাই করে মানুষের সামনে তুলে ধরে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর