বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

গাইবান্ধায় অনিয়মে চলছে শুনানি

ইসি নির্বাচনের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গতকাল দ্বিতীয় দিন সাঘাটা উপজেলায় ৫২৪ জনের শুনানি গ্রহণ করেছে। এ কমিটি আজ গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে তদন্তের শুনানির শেষ দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি গ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এবং অন্য দুই সদস্য যুগ্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী শুনানি গ্রহণ করেন। বিকালে তদন্ত কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শুনানির দ্বিতীয় দিন ৪০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট, সাঘাটা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শুনানি গ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা তিন দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে প্রতিবেদন জমা দেব। যার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তদন্ত চলাকালে তদন্ত বিষয়ে আর কোনো তথ্য তিনি জানাননি। তদন্তের তৃতীয় দিন আজ গাইবান্ধা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র‌্যাবের কমান্ডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত বক্তব্যসহ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গাইবান্ধা উপনির্বাচনের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল ইসি : গাইবান্ধা উপনির্বাচন করার সময় বাড়িয়েছে নির্রাচন কমিশন। ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল ইসি জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান। ১২ অক্টোবর এ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় পুরো নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আসনটি শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধানের ১২৩(৪) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়সীমা আজ ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত ৯০ দিনের নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে এ মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে।

 এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার ও দায়িত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধের পর বুধবার সাবেক সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের মতামতও নেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এর পরেই ভোটের সময় বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত এলো। ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচন বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সব আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী আট দিনের মধ্যে এ শূন্য পদ পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ‘অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার’। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পূর্ববর্ণিত উদ্ভূত অবস্থাটি অনাকাক্সিক্ষত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরবর্তী সব কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর