শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলেই নদী ভাঙন রোধ সম্ভব

বিশেষ প্রতিনিধি

জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলেই নদী ভাঙন রোধ সম্ভব

অধ্যাপক আইনুন নিশাত

বিশিষ্ট পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, নদীভাঙন নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারলেই নদীভাঙন রোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ভাঙনরোধে সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মাধ্যমে নদীর তীর রক্ষায় ও বাঁধ নির্মাণে প্রচুর অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। তবে বিনিয়োগ অনুপাতে সুফল পাওয়া যায়নি। নদীভাঙন এবং ভাঙন রোধে বিভিন্ন উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া মন্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব এবং অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে নদী রক্ষায় যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয় সেগুলো টেকসই হয় না। ফলে প্রতি বছরই বাঁধ ভাঙে, আবার তা মেরামত করা হয়। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হলেও নদীভাঙন রোধে খুব একটা কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা ড. আইনুন নিশাত তার নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপনার দায়িত্ব পালন করেন। দেশের পানিসম্পদ নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, শত বছর আগেও নদী ভেঙেছে। শত বছর পরবর্তী সময়েও নদী ভাঙবে। নদীভাঙন রোধে বিভিন্ন উদ্যোগের সুফল ভাঙনকবলিতরা না পেলেও কেউ না কেউ পাচ্ছেন। কারা পাচ্ছেন সেটা দেখা দরকার। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা ড. আইনুন নিশাত আরও বলেন, আমরা যমুনা সেতুতে ভাঙনরোধ করেছি, সেখানে তো এক ইঞ্চিও নদী ভাঙছে না। পদ্মা সেতুতেও ভাঙবে না। টেমস, মিসিসিপি ভাঙছে না। তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যে শিক্ষা পেয়েছে, আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদেরও তো একই পাঠ্য পড়ানো হয়। তাহলে আমাদের এখানে কেন বছর বছর ভাঙনের পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালতে হয়? মূলকথা হচ্ছে জবাবদিহিতা। নদীভাঙন রোধে যেসব ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন, যারা প্রকল্প অনুমোদন দেন, যে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আনেন তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাহলে ভাঙনরোধে কার্যকরভাবে সুফল পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর