বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের পদে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে রাখা-না রাখা প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছেন। জি এম কাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে চিফ হুইপের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর রওশন এরশাদ বলেছেন, সংসদের ধারা মোতাবেক কাউকে কোনো পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে, সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে একমাত্র স্পিকার। গতকাল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া, জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারা ২২ উপধারা ২-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এবং গত ৮ অক্টোবর তারিখে প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে।
এদিকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সংসদীয় ধারা ও বিধিবিধানকে অবজ্ঞা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের অগণতান্ত্রিক ধারা ব্যবহার দেখিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারম্যানের প্যাডে লিখিত পত্রে সংসদের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানানোর ঘটনা তার অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। সংসদের ধারা মোতাবেক কাউকে কোনো পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে, সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে একমাত্র স্পিকার। যা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। পার্টির পার্লামেন্টারি দল বা নেতা বা উপনেতাও এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করতে পারেন না অথবা দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয় না। দল শুধু স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারে। রাঙ্গা বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পদে বহাল আছেন।
