বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রাপ্য কাভারেজ চাইলেন ওবায়দুল কাদের

তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আড্ডা-আলোচনায় সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সিনিয়র সম্পাদক, সাংবাদিকরা গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে যোগ দিয়েছিলেন আলোচনা-আড্ডায়। এতে সাংবাদিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেন। এ অনুষ্ঠানে সিনিয়র সম্পাদক, সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের প্রাপ্য কাভারেজ প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ডিউ (প্রাপ্য) কাভারেজ চাই। আমরা বেশি চাই না। যা আছে আমাদের সেটুকুই দেন। আমরা আমাদের ডিউটা চাই।

অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসসের প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালবেলা সম্পাদক আবেদ খান, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আজকে দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সবাই এসেছেন। আপনাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ডিউ (প্রাপ্য) কাভারেজ চাই। আমরা বেশি চাই না। যা আছে আমাদের সেটুকুই দেন। আমরা আমাদের ডিউটা চাই।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা এটাও বলি না যে, বিএনপিকে কাভারেজ দিয়েন না। তাদেরকেও দেন। বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হয়।’

সভায় স্বাগত বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক চিন্তা করতে সহায়তা করে, গণমাধ্যম সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারে। আবার গণমাধ্যম যদি চেষ্টা করে, সমাজে ভুল বার্তাও দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো সরকার দাবি করতে পারবে না শতভাগ নির্ভুল কাজ করেছে অথবা করবে। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। সেই ভুলত্রুটিগুলো যদি অনেক বড় করে দেখানো হয়, অর্জনগুলো যদি ছোট করে দেখানো হয় তাহলে সমাজে সঠিক চিত্র প্রস্ফুটিত হয় না। আমরা গণমাধ্যমের সহায়তা চাই। কারণ গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সহায়তা ছাড়া বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, বিতর্ক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থার ভিত গড়ে ওঠে না। আমাদের ভুলত্রুটি অবশ্যই তুলে ধরবেন, একই সঙ্গে এই যে দেশটা বদলে গেল, বিশ্বব্যাপী প্রশংসা বাংলাদেশের জন্য... বিশ্বব্যাংক প্রশংসা করে, জাতিসংঘ প্রশংসা করে সেটি বড় আকারে গণমাধ্যমে আসে না। এ ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা চাই।’

পরে তথ্যমন্ত্রী বিভিন্ন টেবিলে হেঁটে হেঁটে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। সব শেষে সবাই নৈশভোজে অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর