বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মরক্কো-পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনাল

মরক্কো-পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনাল

রামোসের প্রথম হ্যাটট্রিক

কাতার বিশ্বকাপ প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন পর্তুগালের গনসালো রামোস। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ৫৫ ম্যাচে হ্যাটট্রিক দেখেননি ফুটবলপ্রেমীরা। ৫৬ নম্বর ম্যাচে হ্যাটট্রিক দেখলেন। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন রামোস। তার হ্যাটট্রিকে পর্তুগাল শেষ নকআউট ম্যাচে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সুইজারল্যান্ডকে। পর্তুগালের পক্ষে বাকি গোল তিনটি করেন পেপে, গুয়েররিরো ও লিয়াও। ম্যাচের শুরু থেকে খেলেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ‘সিআর সেভেন’। ২০০৬ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল পর্তুগাল। তিন আসর পর পুনরায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রামোসের দেশ। ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও মরক্কো।

ফুটবলে আরব বসন্ত। গ্রুপ থেকেই মরক্কোর চোখ রাঙানি দেখছিল প্রতিপক্ষরা। গ্রুপের শীর্ষে থেকে তারা এসেছে নকআউট পর্বে। এবার শেষ ষোলোতেও বিপ্লব ঘটাল মরক্কো। সাবেক চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল। মরক্কোর জয়ের নায়ক গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু। টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। আরেকটি ক্রশবারে লাগে। গতকাল এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলাও শেষদিকে। স্পেন শেষবারের মতো মরক্কোর গোলমুখে আক্রমণে। আরব দেশটির সমর্থকরা গ্যালারিতে দুই হাত তুলে প্রার্থনায় মগ্ন। হে বিধাতা, গোলটা যেন না হয়। গোল হলো না। স্পেন শূন্য (০), মরক্কো শূন্য (০)। আর্জেন্টাইন রেফারি ফার্নান্দো রাপাল্লিনি ম্যাচ শেষ করার বাঁশিতে ফুঁ দিলেন। মুহূর্তেই উৎসবে মেতে উঠল মরক্কো। স্পেনকে ১২০ মিনিট রুখে দেওয়া আফ্রিকান এই দলটির জন্য কম কথা নয়! কিন্তু ওখানেই থেমে থাকল না মরক্কো। টাইব্রেকারে ম্যাচটা মরক্কো জিতল ৩-০ ব্যবধানে। স্পেনের ক্লাব সেভিয়াতে খেলা ইয়াসিন বোনু পর পর দুটো গোল রুখে দেন। একটি শট আটকে যায় ক্রসবারে। টানা তিনটা শট মিস করেন স্পেনের সারাবিয়া, সোলার ও বুসকেটস। বিপরীত দিকে মরক্কোর সাবিরি, হাকিম জিয়েচ ও আশরাফি হাকিমি দারুণ শটে গোল করেন। বদর বেনোন গোল করতে ব্যর্থ হলেও মরক্কোর জয় পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি। টিকি-টাকার ফুটবল নিয়েই মাঠে নামে স্পেন। ছোট ছোট পাস। যত বেশি সম্ভব বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখা। সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে আক্রমণ। গোল করার চেষ্টা। কিন্তু স্পেনের এই কৌশল মরক্কোর গতির সঙ্গে টিকল না। ১২০ মিনিটে ১০১৯টি পাস দিয়েও গোল বের করতে পারেনি স্পেন। বিপরীতে মরক্কোর পাস ছিল কেবল ৩০৪টা।

মরক্কো নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে একবারই নকআউট পর্বে খেলে। ১৯৮৬ সালে। সেবার পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় তারা। দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ষোলোতে খেলতে এসে সফল হলো দলটা। অন্যদিকে নকআউট পর্বে খেলা স্পেনের জন্য নিয়মিত অভ্যাসেরই মতো। ষোলোবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাঁচবার গ্রুপ পর্ব খেলে বিদায় নিয়েছে স্পেন। বাকি ১১ বারই নকআউট পর্বে খেলেছে। গত বিশ্বকাপে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল স্পেন। এবারেও বিদায় নিল শেষ ষোলো খেলেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর