রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাধা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে

জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাধা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে

জীবন থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। দেশের মানুষের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, জাতির পিতার স্বপ্ন ইনশা আল্লাহ আমরা পূরণ করব। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব ষড়যন্ত্র ও বাধা মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।    

শেখ হাসিনা বলেন, আঘাত আসবে, ষড়যন্ত্র আসবে কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে। আমরা সব বন্ধ্যত্ব কাটিয়ে আজকে দুর্গম গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। 

তাঁর সরকার আগামীর বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে উল্লেখ করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে, তারা প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা সবকিছুই আমরা ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে করব। ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সবকিছ্ইু ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে হবে। আমি আশা করি, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা তা করতে সক্ষম হব এবং সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর সরকারের সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটচুরির দুরভিসন্ধি যদি থাকত তাহলে আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন আইন করলাম কেন? খালেদা জিয়ার মতো ওই ‘আজিজ মার্কা’ নির্বাচন কমিশন করতে পারতাম। সেটা আমরা করিনি। কারণ, দেশের জনগণের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস নিয়েই আমরা চলি।

সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পতাকা উত্তোলন করেন। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণার পর ১০টা ৩০ মিনিটে সম্মেলন মঞ্চে পৌঁছান দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট, সম্মানিত অতিথিসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। এ সময় জয় বাংলা স্লোগানে মুখর ছিল সম্মেলনস্থল। ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’- এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের কাউন্সিল। সম্মেলনে লিয়াকত আলী লাকীর নির্দেশনায় এবং আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের তত্ত্বাবধানে আধা ঘণ্টার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয়। এ সময় সংগীত ও নৃত্যের তালে তালে তুলে ধরা হয় আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। 

সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন। বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে উপস্থিত হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক (চুন্নু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরা। দাওয়াত করা হলেও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা যায়নি ক্ষমতাসীনদের সম্মেলনে। এ ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন মঞ্চের প্রথম সারিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী জাফরউল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বসেন।   

শীতের সকালে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল প্যান্ডেলে আসতে থাকেন কাউন্সিলর, ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি ও সারা দেশ থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টার মধ্যেই কানায় কানায় ভরে ওঠে প্রায় ৩০ হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতার সুবিশাল প্যান্ডেল। প্যান্ডেলে জায়গার সংকুলান না থাকায় প্যান্ডেলের বাইরে মাইকের সামনে দাঁড়িয়েই হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের সুশৃঙ্খল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধুর সন্তান দুর্নীতি করে টাকা আয় করতে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে তাঁর এবং তাঁর সরকারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। তিনি সেই অভিযোগ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মোকাবিলা করেন, যা পরে ভুয়া প্রমাণিত হয়। আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার মেগাওয়াটে নিয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে আলো পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিতে নয়, দেশের মানুষকে দিতে এসেছি। মানুষের জন্য করতে এসেছি।

নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নিয়োগে নতুন আইন প্রণয়নসহ তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আবারও অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছি। আগে নির্বাচন কমিশনের কোনো আর্থিক সক্ষমতা ছিল না। সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে রাখা ছিল, যেটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতে সেই সক্ষমতা দিয়েছি। বাজেট থেকে সরাসরি তাদের টাকা দেওয়া হয়। যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। 

আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের আন্দোলনের কারণেই ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ অনেক কিছুর সংস্কার হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ইভিএম করার পরে আর কোনো ভোট জালিয়াতি করার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা তাঁর জানা নেই।

১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। বিএনপিকেও ছাড়েনি। তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়। ২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে পৃথিবীর মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল খালেদা জিয়া। বর্তমানে ভোটার আইডি, স্মার্টকার্ড করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ সম্প্রদায় তারা যত বেশি এই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা শিখবে তত আমরা দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ ধরনের ৫৭টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন ও ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ৯২টি হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ৬ হাজার ৬৮৬টি ডিজিটাল সেন্টার এবং ১৩ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্ন্যান্স এবং স্মার্ট সোসাইটি- এই চারটি হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি। তিনি বলেন, তাঁর উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে এবং এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের প্রস্তুতি চলছে।

অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি যার যেটুকু জমি আছে চাষ করেন বা উৎপাদন করেন। আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদেরটা নিজেরা খাব কিন্তু কারও কাছে হাত পেতে চলব না, যদিও আমাদের সম্পদ কম। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। টিকা পাওয়ার যোগ্য শতভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির সময় প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। দলের নেতা-কর্মীরা প্রায় ২ কোটি মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ?যাপন করছে তখন দেশ উন্নত মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। তাই নিজের জীবন থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হবে না।

জাতির পিতাকে উদ্দেশ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিতা আমরা কথা দিলাম আপনার জনগণ কখনো অভুক্ত থাকবে না, আপনার জনগণ কষ্টে থাকবে না, আপনি আজকে নেই কিন্তু আপনার আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়ে জনগণের পাশে থেকেই এই দেশের জনগণকে সুন্দর জীবন দেব, উন্নত জীবন দেব এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর সেভাবেই এদেশ পরিচালনা করব।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, যত অশুভ শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র করুক। আমরা বাঙালি, বাঙালি হিসেবেই এগিয়ে যাব অগ্রযাত্রার পথে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করব। সুকান্তের ভাষায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব/ নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার’।

সর্বশেষ খবর