মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্ব অর্থনীতি কঠিন সময় পার করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব অর্থনীতি কঠিন সময় পার করবে

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা

নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনি এক বার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, নতুন বছরেই মন্দার কবলে পড়বে বিশ্ব। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা মন্দার এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বিশ্বের দেশে দেশে। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, নতুন বছর তথা ২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় কঠিন সময় পার করবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থনীতির গতি এরই মধ্যে মন্থর হয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুদ হার বেড়ে যাওয়া ও চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের বিস্তার বিশ্ব অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এতে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ দেশের অর্থনীতি চলতি বছর মন্দার কবলে পড়তে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সিবিএস নিউজের এক অনুষ্ঠানে আইএমএফের প্রধান এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন। এর আগে গত অক্টোবরে প্রকাশিত আইএমএফের অথনৈতিক আউটলুকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, চলতি বছর যেসব দেশ মন্দার কবলে পড়বে না, সেসব দেশের মানুষও মন্দার ধাক্কা অনুভব করবে। ইউরোপ কোনোভাবেই মন্দা এড়াতে পারবে না। আর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আইএমএফ বলছে, করোনাভাইরাস নতুন করে বিস্তার শুরু করলেও চীন সম্প্রতি তাদের ‘শূন্য কভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে। তারা অর্থনীতিতে আবারও গতি সঞ্চার করতে চায়। ফলে চলতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, আগামী কয়েক মাস চীনের জন্য কঠিন সময়। ফলে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। চীনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তাতে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আইএমএফ সতর্কতা অনুযায়ী, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি মন্থর বা সংকুচিত হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়া মানে চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়বে। কারণ, এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির চাহিদা কমে যাবে। এ ছাড়া উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায়ীদের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমে যাবে। এর ফলে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গরিব ও নিম্ন অর্থনীতির দেশগুলোকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

সর্বশেষ খবর