ইনজুরির জন্য বিপিএলের গত আসরে খেলেননি নাসির হোসেন। এবার সুযোগ পেয়েছেন এবং খেলছেন ঢাকা ডমিনেটরের হয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ তার হাতেই তুলে দেয় নেতৃত্ব। দায়িত্ব পেয়ে বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরেন। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ৫ বল হাতে রেখে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলকেও জয় উপহার দেন ৬ উইকেটে। ম্যাচসেরা নাসির ২৯ রানে ২ উইকেট এবং ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ঢাকা ডমিনেটর-খুলনা টাইগার্সের ম্যাচটি কুয়াশার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে মাঠে গড়ায়। অথচ ম্যাচ শুরুর কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। কিন্তু কুয়াশায় ম্যাচটি আধাঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স ও সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। সাকিবের বরিশাল ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রান করে। আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন সাকিব। ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন ৩২ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায়। বড় টার্গেট দিলেও বরিশাল আর জিততে পারেনি। ১ ওভার বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সিলেট। ্্টুর্নামেন্টের প্রথম দিন প্রথম ম্যাচে রান উঠেনি। গতকালও প্রথম ম্যাচে রান তুলতে কষ্ট করতে হয়েছে দলগুলোকে। দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে খুলনার সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩। খুলনাকে আটকে রেখেছিলেন ঢাকার ডানহাতি পেসার আল আমিন এবং দুই স্পিনার নাসির ও আরাফাত সানি। আল আমিন ৪ ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নেন ২৮ রানের খরচে। নাসির ২৯ রান এবং আরাফাত ২৬ রানের খরচে নেন ২টি করে উইকেট। টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৮ রান করেন। দলনায়ক ইয়াসির ২৪ রান করেন ২৫ বলে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১৯ রান ২৫ বলে। ১১৪ রানের টার্গেটে ঢাকাকে জয় তুলে নিতে নাসির ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
সৌম্য সরকার ১৩ বলে ১৬ এবং উসমান গনি ১৫ বলে ১৪ রান করেন।