শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে চুলার আগুনে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ভয়াবহ আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তারা হলেন- কাঙ্গাল বসাক (৬৮), তার স্ত্রী ললিতা বসাক (৫৭), গৃহকর্তা খোকন বসাকের স্ত্রী রাখি দে (৩৩) এবং তার দুই সন্তান সৌরভ বসাক ও সায়ন্তী বসাক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের মহাজনপাড়ার খোকন বসাকের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ খোকন বসাক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিতরে আটকে পড়া দুই শিশুসহ পাঁচজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু তার আগেই আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় তাদের মৃতদেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বসতঘরসংলগ্ন রান্নাঘরের চুলার আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ড বলে আমরা প্রাথমিক ধারণা করছি।’ স্থানীয় সূত্র জানান, খোকন বসাক আগুনের লেলিহান শিখার মধ্য থেকে কোনোরকমে বের হয়ে আসতে সক্ষম হলেও ভিতরে ঘুমন্ত তার বাবা কাঙ্গাল বসাক, মা ললিতা বসাক, স্ত্রী রাখি দে, ছেলে সৌরভ বসাক ও মেয়ে সায়ন্তী বসাক দগ্ধ হয়ে মারা যান।

আগুনের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ফোর্স ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় বসতঘরের জানালার গ্রিল কেটে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে খোকন বসাকের মালিকানাধীন একটি সিএনজি অটোরিকশাও সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।

উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক খোকন বসাক বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সেমিপাকা ঘরে বসবাস করতেন। তিন কক্ষবিশিষ্ট ঘরটিতে বহির্গমন দরজা ছিল একটি। দরজার পাশে রান্নাঘর। স্থানীয়দের ধারণা, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লেগে সেখানে মজুদ বিপুল পরিমাণ কাঠের লাকড়ির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু বহির্গমন দরজা ছিল একটাই আর সেটা ঘিরেই ছিল আগুনের মূল উৎসস্থল। তাই ভাগ্যগুণে গৃহকর্তা খোকন বসাক আহত অবস্থায় বের হতে পারলেও ঘুমিয়ে থাকা ঘরের অন্যরা বের হতে পারেননি। পুরো পরিবার আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।

সর্বশেষ খবর