বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্য ঘাটতি ২৮১৩ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য ঘাটতি ২৮১৩ কোটি ডলার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮১৩.৭৪ কোটি মার্কিন ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের জন্য রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রপ্তানিকারকদের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত সরকারি দলের মোরশেদ আলম (নোয়াখালী-২) ও মাহফজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি বৃদ্ধির আশঙ্কা : মাহফজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব পৃথিবীর সব উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে বিভিন্ন দেশের সংঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে।

 তবে আপাতত যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্ক রয়েছে। এ ঘাটতি হ্রাসে ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্য রপ্তানি আয় ১০.৫৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম, তেলবীজসহ যেসব পণ্য আমদানি করা হতো, তা এখন ভারত, কানাডা ও অন্যান্য উৎস থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ জন্য ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য শিল্পের কাঁচামাল যা ইউরোপ থেকে আমদানি করা হতো, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও অন্যান্য ঝুঁঁকির কারণে তা চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ জন্য চীনের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি বৃদ্ধি পাতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ সার্বিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এবং বৈদেশিক বাণিজ্যঘাটতি মোকাবিলায় সরকার দেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) সম্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান, কানাডা, চীনসহ নয়টি দেশ ও আসিয়ান, মার্কোসর ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রপ্তানিকারকদের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর