সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শূন্যরেখা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা

প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের ১৮০ জন বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্পে

কক্সবাজার ও বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল প্রথম দিন প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের ১৮০ জনকে বালুখালী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের সহায়তায় কুতুপালং ক্যাম্প ৫-এর সিআইসি প্রীতম শাহর তত্ত্বাবধানে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। সীমান্তের জিরো লাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থান নেওয়া প্রায় দুই হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম দফায় ৩৬ পরিবার ১৮০ জন কুতুপালং বালুখালী রাবার বাগানের পাশে ট্রানজিট ক্যাম্পে গেছেন।

গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও’র মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তুমব্রুর এপারে প্রাইমারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়ে আসার পর থেকে তুমব্রু গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছিল। তাই স্থানীয়দের দাবি রক্ষার্থে কুতুপালং ক্যাম্পের নিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিআরসিকে সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, প্রথম দিনে ৩৬ পরিবারের ১৮০ জনকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের আশপাশের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, আরআরআরসি, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে স্থানান্তরের কাজ চলছে। তিনি জানান, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, গত ১৮ জানুয়ারি আগুন লাগিয়ে ঘর পুড়ে দেওয়ার পর কোনারপাড়া ক্যাম্পের ৫৬২ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গা তমব্রুর বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেন। মূলত তাদেরকেই নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রবিবার (গতকাল) সকাল থেকে তাদের ডাটাবেজের সঙ্গে ক্রমিক নম্বর জুড়ে দেওয়ার কাজ হচ্ছে। তাদের পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর