সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধনে ১২ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসনে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

গতকাল ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের কার্যালয়ে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন বলে জানান বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুর রাজ্জাক। তার স্বাক্ষর করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে রাজস্ব খাতের আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপুল মুনাফা অর্জন করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পুঁজিবাজার যে বিশেষ অবদান রেখেছে সেজন্য আপনার সরকার

 বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু আজ সেই পুঁজিবাজার অবহেলিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। স্মারকলিপির দাবিগুলো হলো, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠন, পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সহজ শর্তে অর্থাৎ ৩ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, যা আইসিবি (ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ) বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫ শতাংশ হার সুদে লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। পুঁজিবাজারের বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটেডের বাইরে রাখার বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত চলমান ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা, ফোর্সসেল বন্ধ রাখা এবং সব ধরনের আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যু বন্ধ রাখা। লভ্যাংশের ওপর থেকে ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা। কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণার আগে সরকারকে অগ্রিম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসেবে গণ্য করা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ভালো মুনাফা করা সত্ত্বেও উপযুক্ত লভ্যাংশ দিতে গড়িমসি করে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া। তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্য ১৫ শতাংশ করা। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে ‘বাইব্যাক আইন’ পাস করা। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে অথবা এনএভির ৫ শতাংশের কম এ দুটির মধ্যে যেটি বেশি হবে সেই মূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। অপ্রদর্শিত অর্থ ৫ শতাংশ কর প্রদান করে বিনা শর্তে শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া। হাই কোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত কোম্পানি আইনের টুসিসি ধারা মোতাবেক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ এবং ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে বাধ্য করা। পুঁজিবাজারের সুশাসন ও স্থিতিশীলতার জন্য ভবিষ্যতে কোনো কোম্পানিকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা তুলতে হলে কমপক্ষে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশ শেয়ার আপলোড করার বিধান রাখা। কারসাজি বন্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে বিএফআইইউয়ের মতো একটি নতুন ইউনিট চালু করা। যেখানে ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবির কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন এবং যা সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান নেতৃত্বাধীন থাকবে।

সর্বশেষ খবর