শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

লুটের আসর বসিয়েছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

লুটের আসর বসিয়েছে আওয়ামী লীগ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে লুটের আসর বসিয়েছে। আওয়ামী লীগের সবাই আজ পাগল হয়ে গেছে, মরিয়া হয়ে গেছে। তারা দ্রুত সব সম্পদ লুট করে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। আগে ঠিক যেভাবে বর্গিরা আমাদের দেশে এসে সব সম্পদ লুট করে চলে যেত। আজ ঠিক সেভাবেই আওয়ামী লীগ লুটের আসর বসিয়েছে, খাওয়া-দাওয়ার উৎসব করছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের স্মৃতিচারণ করেন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আ স ম আবদুর রবসহ বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ২ মার্চ জাতীয় জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিনে প্রথম আমাদের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। কিন্তু ৫২ বছরেও এ দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি। তিনি আরও বলেন, আজকে স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর অবদান- এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমেদের অবদানও স্মরণ করা হয় না। আজকে ভিন্ন দল করার জন্য স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আসম রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা হয় না। বরং জিয়াউর রহমানকে একজন খলনায়ক হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।

তারা (আওয়ামী লীগ) বলেন, জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। সবকিছুই নাকি করেছে আওয়ামী লীগ এবং একজন ব্যক্তি। আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার লড়াই কোনো একক ব্যক্তি কর্তৃক সম্পন্ন হতে পারে না বা হয়নি। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ ও লড়াইয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, তাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন প্রবাসী সরকারের কার্যক্রম, জাতিরাষ্ট্র গঠনের পথ-পরিক্রমায় মাওলানা ভাসানী, স্বাধীনতার রূপকার সিরাজুল আলম খান ও আমাদের নেতৃত্বে নিউক্লিয়াস, জিয়াউর রহমানের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ, কাদেরিয়া বাহিনীসহ যার যা অবদান ও ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড তা স্বীকার করতে হবে। সবার অবদান অস্বীকার করে বা মুছে দিয়ে শুধু একজন ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা ইতিহাসের ভয়াবহ বিকৃতি। সরকারকে বিকৃত ইতিহাসের বয়ান থেকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর