শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোমহর্ষক দৃশ্য হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিস্ফোরণের কিছু পর থেকে হতাহতদের চমেক হাসপাতালে আনা শুরু হয়। সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আহত ব্যক্তিদের আনা হচ্ছিল। আহতদের মধ্যে সিংহভাগের হাত-পা উড়ে গেছে। আবার অনেকের উপরের অংশ মারাত্মক জখম হয়েছে। অনেকের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। রাত পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে বিস্ফোরণে আহত ৩০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসন থেকে ১০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন সীতাকুণ্ডের শামসুল আলম ও মো. ফরিদ। আহতরা হলেন মো ফোরকান, নাহিন শাহরিয়ার, জসিম উদ্দিন, আবদুল মোতালেব, জাহিদ হাসান, নারায়ণ, আরাফাত, ফেন্সি। আহতদের চমেক হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে আহত ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। তারা স্বজনদের খোঁজে ছিল ব্যস্ত। অনেকের কান্না ও আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালের বাতাস। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে আহতদের হাসপাতালে আনার কাজ ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতা মোশাররফ হক পাভেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরুল আলম শিপু, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বেওয়ারিশ লাশ দাফনে পুলিশ সদস্য শওকতের মানবিক টিম আহতদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর