কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় পটুয়াখালীর বাউফলে ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী নিহতের এক দিন পরও এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে গতকাল নিহত দুই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা বিদ্যালয়ের পাশের সড়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কালো ব্যাজ ধারণ ও ক্লাস বর্জন করে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। এদিকে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দুই ছাত্রের লাশ এলাকায় পৌঁছলে স্বজন ও সহপাঠীদের আহাজারিতে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। বাদ আসর জানাজা শেষে দুই ছাত্রের লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি বলেও জানান বাউফল থানার ওসি আল মামুন। তবে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ। ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। জানা যায়, পূর্ববিরোধের জেরে বুধবার দশম শ্রেণির তিন ছাত্র নাফিজ (১৫), মারুফ (১৫) ও সিয়ামকে (১৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এর মধ্যে নাফিজ ও মারুফ বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সিয়াম বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে।