শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা পতনের পর ইতিবাচক ধারায় শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা দরপতন থেকে বের হয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে শেয়ারবাজার। ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন পরিবর্তনের গুঞ্জনে শেয়ারবাজারে লেনদেনে বড় উত্থান হয়েছে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে ধুঁকতে থাকা শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ মাত্র ২০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেড়েছে সূচকের অবস্থান। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমায় বন্ডে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না এবং ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব করা হবে এমন বিধান রেখে খসড়া আইন অনুমোদন নিয়ে বাজারে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আগেই এসব আইন পরিবর্তনের বিষয়ে বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের একাধিক সংস্থা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ৬ মার্চের পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। একই সঙ্গে দাম কমার তুলনায় দাম বেড়েছে দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ ও মূল্যসূচক। ডিএসইতে ৭৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৪৫টির এবং ১৯৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।  দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৮৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানি ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ৪১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ২৩টির এবং ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি : শেয়ারবাজারে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজারে আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে। গতকাল কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসীমা ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফান্ডগুলো এত দিন তার আকারের ১০০ টাকার মধ্যে ৬০ টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারতো। এখন থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ৮০ টাকা করতে পারবে।

 

সর্বশেষ খবর