মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপির অনেকেই ভোটে অংশ নিতে যোগাযোগ করছে

ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিতে উকিল সাত্তারের অভাব নেই। বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে তলে তলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

তিনি গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিতে নতুন খেলা শুরু হয়ে গেছে। এ খেলা চক্রান্তের খেলা, এ খেলা ষড়যন্ত্রের খেলা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ভাবছে এবং তারা জানে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তারা জানে বিদেশিরা পর্যন্ত বলে- She made be popular|। অত্যন্ত জনপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না। তিনি বলেন, তাদের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামিও বুঝে গেছে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই। এটা বুঝতে পেরে আজকে ফখরুলের মনের জোর কমে যাচ্ছে। মনের জোর কমছে গলার জোর বাড়ছে। এখন প্রতিনিয়ত অদ্ভুত অদ্ভুত কথাবার্তা বলছেন। এখন মনে হয় বেপরোয়া গাড়িচালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক ফখরুল যেভাবে পথ হারিয়ে দিশাহারা হয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন তাতে যে কোনো সময় না দুর্ঘটনা হয়ে যায়। রাজনীতির দুর্ঘটনা ঘটার পথে হাঁটছে বিএনপি। এ অপশক্তিকে ঠেকাতে হবে।

সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিয়মমাফিক সিটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। তাতে ফখরুলের এত মাথাব্যথা কেন? কী অসুবিধা বিএনপির? বিএনপি ঘোমটা পরা প্রার্থী দেয়, প্রকাশ্যে আসে না। নিয়ম অনুযায়ী সিটি নির্বাচন হবে। কেউ আসুক বা না আসুক। নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। এখানেও তাদের ভয়। কারণ এখানে হেরে গেলে জাতীয় নির্বাচনে আর সম্ভব না। এ জন্য তারা ভয় পাচ্ছে। ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। দেশের ভিতর সবাই জানে কারা সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালত বাংলাদেশে  সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিএনপিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে। জ্বালানির দাম কমবে। বৈশ্বিক সংকটে দেশের মানুষের কষ্ট অনুভব করেন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন,  সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে রাখব জীবনের বিনিময়ে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঠিকানা বিএনপি। এ অপশক্তিকে রুখতে হবে, প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর