বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

আসছে নতুন রাজনৈতিক দল

♦ নিবন্ধন প্রত্যাশী ৮১ আবেদন বাদ ♦ বাছাইয়ে টিকল মান্নার নাগরিক ঐক্য ও নূরের গণ অধিকার পরিষদ ♦ আছে এবি পার্টিও

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। ইসির নিবন্ধন চাওয়া ৯৩টি দলের মধ্যে ৮১টি আবেদন বাতিল হয়েছে; কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিকভাবে ১২ দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এদিকে কমিশনের নিবন্ধন দৌড়ে এগিয়ে আছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, নুরুল হক নূরের গণ অধিকার পরিষদ। এ ছাড়া প্রাথমিক বাছাই তালিকায় রয়েছে জামায়াতের সাবেক নেতাদের গঠিত দল এবি পার্টি।

নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম গতকাল জানান, মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ে এসব দলের কেন্দ্রীয় জেলা ও উপজেলা কমিটি সক্রিয় রয়েছে কি না এবং থানা পর্যায়ের ২০০ সমর্থন সূচক তালিকা সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করা হবে ১৫ দিনের মধ্যে। যাদের তথ্য সঠিক পাওয়া যাবে তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের  জন্য নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ইসি সচিব বলেন, নিবন্ধিত হতে ৯৩টি আবেদন জমা পড়েছিল। নানা পর্যায়ে বাছাইয়ে ৮১টি আবেদন বাতিল হয়েছে। ১২টি দলের মাঠপর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কোনো দল নিবন্ধন যোগ্য হলে নিবন্ধন পেতে পারে নতুন দল। আবেদন যাচাইয়ে যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১৬টি আবেদন বাদ পড়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের তথ্য দিতে না পারায় এবং ঠিকানা ভুল হওয়ায় বাতিল হয় আরও ৩১টি আবেদন। পরে যাচাই-বাছাইয়ে নিবন্ধনের প্রাথমিক শর্ত পূরণ করতে না পারায় আরও ৩৪টির আবেদন বাতিল করা হয়। ১২টি দল যে তথ্য দিয়েছে তা মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে কমিটি। এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে,’ বলেন ইসি সচিব।

ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২ দল : এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনোরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে ২০২২ সালের মে মাসে আবেদন নেওয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরে সময় বাড়ানো হয় আরও দুই মাস। ৩০ অক্টোবর শেষ সময় পর্যন্ত ইত্যাদি পার্টি, মুসকিল লীগসহ হরেক নামের ৯৩টি আবেদন জমা পড়ে। এরপর নভেম্বরেই আবেদন বাছাইয়ে নামে কমিশন। কয়েক দফা যাচাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের বিষয়ে এখন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনো একটি শর্ত পূরণ করলে সেই রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয়। নতুন দলের জন্য শর্ত হলো- দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচনে দলীয় পরিচয়ে অংশ নিতে ইসিতে নিবন্ধিত হতে হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৪০টি। সবশেষ আদালতের আদেশে তৃণমূল বিএনপি নিবন্ধন পায়। নিয়ম অনুযায়ী এ দলগুলোই নিজস্ব দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে পারে। দলের বাইরে অন্যদের নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর