রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জ্বরের কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বোর্ডের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর আগে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেন। বিকাল সাড়ে ৫টায়

তিনি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গুলশানের বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে যান।

হাসপাতালে পৌঁছার পর থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াও তাঁকে দুই-একদিন অবজারভেশনে রাখা হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সবশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ‘রুটিন চেকআপ’এর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এই টেস্টগুলোর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর আগে ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সবশেষ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তারও আগে একটানা ১৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত বছরের ২৪ জুন বাড়িতে ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। তখন হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদযন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদযন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর একই বছরের জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, শুক্রবার ভোর রাতে খালেদা জিয়ার জ্বর আসে। যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় গতকাল বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই চিকিৎসক শনিবার রাত ১১টায় বলেন, চিকিৎসকরা মনে করছেন মাত্রাতিরিক্ত জ্বর কোনো ভালো লক্ষণ নয়। জ্বর কী কারণে এসেছে সে জন্য থরো চেক-আপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন করে অন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কি না- তা নির্ণয় করা যাবে। অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, কিছু পরীক্ষা শনিবার রাতে হয়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি কতদিন হাসপাতালে থাকবেন।

সর্বশেষ খবর