পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশকে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। হোক আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ সেসব শর্তই মানবে যা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাজেট আলোচনার সময় ও পরিধি বাড়ানো উচিত। বাজেট নিয়ে বর্তমানে যতটুকু আলোচনা হয় তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া কীভাবে কর আদায়ের পরিধি বাড়ানো যায়, তা নিয়েও এখন থেকে ভাবা উচিত। কর আদায়ের পরিধি বাড়ালে বাজেট ঘাটতিও কমে আসবে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আশপাশের অনেক দেশের থেকে ভালো। এ ছাড়া ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার চীন ও ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। দেশের রপ্তানি খাত নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই বলে বাংলাদেশের রপ্তানি একমুখী। স্বীকার করছি, তৈরি পোশাক খাত দেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় উৎস। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এবার প্রথমবারের মতো ওষুধশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাটশিল্পের রপ্তানি আয় আলাদা আলাদাভাবে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটি একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়লে সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ নীতি দেশে খুব একটা কার্যকর হবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশকে নিজস্ব নীতিতে চলতে হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান জায়েদি সত্তার, এডিবির আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রানা হাসান প্রমুখ।