হাফিজুল মোল্লা নামে এক বন্দি জেলখানার ভিতর পি কে হালদারের ওপর দু-দুবার হামলা চালিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদার হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত বছর ১৪ মে তিনি কলকাতায় গ্রেফতার হন, সেই থেকে আছেন কারাগারে। তিনি আক্রান্ত হওয়ার বিবরণ দাখিল করে মঙ্গলবার আদালতে পিটিশন জমা দেন তার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।
৪৯ দিনের বিচার বিভাগীয় (জুডিশিয়াল কাস্টডি) শেষে গতকাল পি কে হালদারসহ ছয় আসামিকে ৩ নম্বর স্পেশাল সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ওই আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা জানতে চান হালদার এখন সুরক্ষিত বোধ করছেন কি না? উত্তরে হালদার বলেন, হ্যাঁ, এখন কোনো সমস্যা নেই। আলিপুর প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি হালদার আক্রান্ত হন ১৮ এপ্রিল সেলের ভিতর। হালদার যে সেলে বন্দি ছিলেন, সেই একই সেলের ভিতরে ছিলেন হাফিজুল মোল্লা। সে সময় হালদার ও মোল্লার মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। ওয়ার্ডরক্ষী এসে তা থামান। হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কারাগার কর্তৃপক্ষ। পরে হালদারকে অন্য একটি সেলে স্থানান্তরিত করা হয়। এর পরও ২২ এপ্রিল সেলের বাইরে তিনি যখন পত্রিকা নিয়ে পড়ছিলেন, তখনই আচমকা তার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারী হাফিজুল মোল্লা সেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। দুটি ঘটনাতেই অল্পবিস্তর আহত হন হালদার।
তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, হাফিজুল মোল্লার বাড়ি বসিরহাটে। গত বছরের জুলাইয়ের গোড়ার দিকে তার বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার অভিযোগ ওঠে। রাতভর মমতার বাড়িতে লুকিয়ে থাকার পর তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে গ্রেফতার করেন। কারাগারের ভিতর পি কে হালদারের ওপর কেন হামলা হয়েছে, তার কারণ জানা যায়নি।