মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হবে গাজীপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হবে গাজীপুরে

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো রয়েছে এবং অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটের দিন এবং ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে। তবে গাজীপুরে কোনো ভোটারকে, কোনো এজেন্টকে কোনোরকম বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে, সে যে-ই হোক। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। ভোটের আর মাত্র দুই দিন বাকি রয়েছে। ভোটের শেষ প্রচার চলবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত।

আগামী বৃহস্পতিবার এ সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। শুরুর দিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও তা মন্ত্রী, এমপিদের সতর্ক করা এবং নৌকার প্রার্থীকে তলবের মধ্য দিয়ে তা সামলে নিয়েছে। পরবর্তীতে প্রচারণা নিয়ে বড় ধরনের অভিযোগ না থাকলেও এরই মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগও উঠেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ও সুষ্ঠুভাবে সবাই প্রচার চালাচ্ছে। মেইন স্ট্রিটের মিডিয়ায় গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ভিডিও আসেনি। কোনো পত্রিকায়ও লেখা হয়নি। আমি নিজে গিয়েছি গাজীপুর। এর আগেও গিয়েছি। অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রচার হচ্ছে। তারপরও আমাদের দেশে সংস্কৃতি যেটা দ্বিতীয় পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। এ পক্ষও স্লোগান দেয়, সে পক্ষও স্লোগান দেয় স্বাভাবিকভাবেই। তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, এ সিটিতে ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবির টিম থাকবে, র‌্যাব থাকবে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাক। তারপর যদি কেউ বাধা দেয় তখন বলুক। আমাদের কাছে পাঠাক যে, অমুকে বাধা দিচ্ছে। দেখেন তখন কী হয়। কঠিন অ্যাকশন হবে। গাজীপুরে মিটিংয়ে স্ট্রেইট বলা হয়েছে-কোনো ভোটারকে, কোনো এজেন্টকে কোনোরকম বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে, সে যে-ই হোক।

এই নির্বাচন কমিশনার দাবি করেন, এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে কেবল বাংলাদেশ নয়, এই সাবকন্টিনেন্টের কনটেক্সটে অত্যন্ত ভালো আছে এবং নির্বাচনের দিন ফলাফল পর্যন্ত ভালো থাকবে। কমিশন সিসি ক্যামেরায় ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। মো. আলমগীর বলেন, প্রত্যেকটা বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা কোনো অভিযোগ দেখলে আইনে যেভাবে অ্যাকশন নেওয়ার কথা সেভাবেই নেওয়া হবে। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চেয়েও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

গাজীপুর নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা এই নির্বাচন কমিশনার সবশেষ রবিবার গাজীপুরে বলেছেন, এ ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ভোটের দিকে অনেক দেশ ও বিদেশি সংস্থা তাকিয়ে আছে। নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা খোয়াল রাখবেন। বাংলাদেশের মানুষ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাকিয়ে আছে এ নির্বাচনের দিকে। সে নির্বাচনটি অত্যন্ত সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে।’

 

সর্বশেষ খবর