বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে সংঘর্ষ

চট্টগ্রামে গতকাল ১৪ দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সাড়ে পাঁচ বছর পর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সামনে চট্টগ্রাম ১৪ দলের ডাকা সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই গণসমাবেশ আয়োজন করা হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সমাবেশে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়লে কাউন্সিলর ওয়াসিমের মাথায় লেগে তিনি আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আবার সমাবেশ শুরু হয়। এদিকে সংঘর্ষ বেধে গেলে মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘মিটিংয়ে সবাই নেতার বক্তব্য শুনতে এসেছে, মারামারি দেখতে আসেনি। এটা মারামারি করার জায়গা নয়। পরে সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সবাই শান্ত হয়ে সমাবেশে অংশ নেয়।’ ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে এবং ওয়ার্কার্স পার্টি জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান ও নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একটি দলের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজন সুশৃঙ্খল কর্মিবাহিনী। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এক মঞ্চে এসেছি, আমাদের প্রধান টার্গেট হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের চট্টগ্রাম নগরের সাধারণ সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নেতৃত্বে এ দেশে অনাচার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টাও হয়েছে। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি আবার ক্ষমতায় না আসে এ দেশ পাকিস্তান হয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতায় একই মঞ্চে সমবেত হয়েছি। এই জোট কোনো নির্বাচনমুখী জোট নয়। এই জোট স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করতে একটি মুক্তমঞ্চ।’ সভায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাম্যবাদী দলের নেতা অমূল্য বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের নজরুল ইসলাম আশরাফি, ন্যাপ মোজাফফরের ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, জেপির ডা. বেলাল মৃধা, গণতন্ত্রী পার্টির স্বপন সেন বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর